দূর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট ছিবরে খেয়ে ফেলেছে সোনার বাংলার স্বপ্নকে-- মিয়া মোহাম্মদ হেলালের কলাম
Corrupt syndicate eats away at dreams in golden Bengal - Mia Mohammad Helal's column
স্বাধীনতার চেতনার সোনার বাংলা গড়ার কথা আমরা বলি। আমরা বলি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলায় দূর্নীতিবাজ ও অনৈতিক চেতনার মানুষের ঠাঁই নাই। আমরা বলি শেখ হাসিনার বাংলাদেশে অন্যায় করে পার পাওয়া যাবেনা। আমরা শুধু বলিনা বরং আমরা করে দেখাই। ফলশ্রুতিতে এ দেশের আপামর জনগন গণতান্ত্রিক উপায়ে শেখ হাসিনাকে তাদের মাথার মুকুট বানিয়ে; মা ডেকে; মায়ের মাথায় রাজমুকুট পড়িয়ে সিংহাসনে বসিয়েছে।। বার বার তার তাদের সমর্থন ব্যক্ত করছে।
মিয়া মোহাম্মদ হেলাল, ক্রাইম ডায়রির বিশেষ প্রতিনিধি,, লন্ডন থেকেঃ
স্বাধীনতার চেতনার সোনার বাংলা গড়ার কথা আমরা বলি। আমরা বলি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলায় দূর্নীতিবাজ ও অনৈতিক চেতনার মানুষের ঠাঁই নাই। আমরা বলি শেখ হাসিনার বাংলাদেশে অন্যায় করে পার পাওয়া যাবেনা। আমরা শুধু বলিনা বরং আমরা করে দেখাই। ফলশ্রুতিতে এ দেশের আপামর জনগন গণতান্ত্রিক উপায়ে শেখ হাসিনাকে তাদের মাথার মুকুট বানিয়ে; মা ডেকে; মায়ের মাথায় রাজমুকুট পড়িয়ে সিংহাসনে বসিয়েছে।। বার বার তার তাদের সমর্থন ব্যক্ত করছে।
সেই সোনার সিংহাসনক কলংকিত করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে ওরা সরকারকে কলংকিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এরই ধারাবাহিকতায় নানা সময়ে রাঘব বোয়ালেরা দলীয় পরিচয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়। কিন্তু ওরা বঙ্গবন্ধুর মেয়েকে চিনতে ভূল করেছে। দলবাজী করে যতই গলা ফাটাক লাভ নেই। অন্যায়ের সাথে আপোসহীন নেতা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিক। এই সময়ে একটি মন্ত্রণালয়ের নিন্দা অনেকবার কানে এল।বাংলাদেশে বৰ্তমান সময়ের সবচেয়ে বেশী দুর্নীতিগ্রস্ত সেই মন্ত্রণালয় হচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
যার সর্বশেষ চিত্র ফুটে উঠেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক পদে নতুন নিয়োগ পাওয়া ডা. আবুল হাশেমের এক চিঠিতে। উপপরিচালক আবুল হাশেম গত ৮ মার্চ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়ে তাঁকে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। চিঠিতে ডাঃ আবুল হাশেম লেখেন ❝দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (পরিকল্পনা অধিশাখা) শ্রীনিবাস দেবনাথ গত ১ মার্চ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ঘুষের প্রস্তাব দেন। শ্রীনিবাস বলেন, শুক্রবারে আপনাকে এক কোটি টাকা দেব, কোথায় দেখা করব ? আমি জিজ্ঞেস করলাম, কী জন্য আমাকে এত টাকা দেবেন ?
তিনি জানালেন, আমরা যে তালিকা দেব, তাঁদেরকে ভাইভা বোর্ডে পাস করিয়ে দিতে হবে। তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় ভালো করেছেন। যে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর লিস্টের লোকদের কাছে আগেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল অর্থের বিনিময়ে।❞ এই নিয়োগ ব্যাবস্থার অনিয়মের রিপোর্টসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনিয়ম ও চুরির আরো অনেক রিপোর্ট করেছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম।
সেই সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম দুর্নীতির তথ্য উদ্ঘাটন করতে সচিবালয়ে গেলে ৫/৬ ঘন্টা আটকে রেখে তাকে নির্যাতন করা হয়। অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম গলাটিপে ধরেন। এরপর কনফিডেন্সিয়াল ফাইল চুরির অভিযোগ দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
রোজিনা ইসলাম প্রথম আলোর সাংবাদিক বলে অনেকেই তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সেটা প্রত্যেকের নিজস্ব অভিমত। ব্যাক্তি রোজিনা কতটা ভালো মানুষ নাকি চোর সেটা আমার কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়। আমার প্রশ্ন অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা কোন মসজিদের ইমাম ? কনফিডেন্সিয়াল ফাইল টেবিলের উপর অরক্ষিত থাকে কিভাবে ? এই অফিসটা কি পাবলিক টয়লেট যে, যে কেউ এসে পারমিশন ছাড়াই ঢুকতে বা বের হতে পারে ? সরকার-সাংবাদিক মুখোমুখি করতে কাজী জেবুন্নেছার মাধ্যমে ভাইয়া গ্রুপের পূর্ব পরিকল্পিত কাজ কি না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট যুগ যুগ ধরে এই খাতটাকে ছিবড়ে খেয়ে ফেলছে, যে সিন্ডিকেটকে খোদ সরকারও ভাঙতে পারছে না। একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক সেই সিন্ডিকেটের অনিয়ম, দুর্নীতির একের পর এক চিত্র জাতির সামনে তুলে ধরছেন বলেই আমরা জানতে পারতেছি।
রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ে গিয়েছিলেন। ধরে নিলাম রোজিনা কেউ না, সাংবাদিক না, রিপোর্টার না; বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক, একজন নারী, একজন নথি চোর। কিন্তু চোর ধরার পর আপনাদের দায়িত্ব কি ? পুলিশ ডেকে তাকে সোপর্দ করা এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে মামলা করা। সেটা না করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আমলারা কোন আইনে একজন নারীকে ছয় ঘণ্টা আটকে রাখলেন ? কেন তাকে মারধোর করলেন ?
অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা কোন আইনে তার গলা টিপে ধরলেন ? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাস্তানরূপী যে সকল আমলারা দেশের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়কে হিন্দি সিনেমার টর্চার সেল বানিয়ে রোজিনাকে গলা টিপে হত্যা করতে চেয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের বিচার চাই। সচিবালয় কারো মাস্তানি করার জায়গা নয়। রোজিনা নথি চুরি করেছেন কি করেন নি, সেটা আদালতে প্রমাণ হবে। আইন নিজের গতিতেই চলবে।
লেখক--
মিয়া মোহাম্মদ হেলাল
লেখক,গবেষক ও সাংবাদিক
(মুক্তমনা লেখক,আওয়ামীলীগ গবেষক, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সূর্য সৈনিক, লন্ডন আওয়ামীলীগ নেতা)
ক্রাইম ডায়রি// স্পেশাল