পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় আজ তাপমাত্রা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন

মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেশ কনকনে ঠান্ডায় নাকাল এই জনপদ।

পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় আজ তাপমাত্রা দেশের মধ্যে  সর্বনিম্ন
ছবি-ক্রাইম ডায়রি

উত্তরের হিমেল বাতাসে তেঁতুলিয়ায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে।

এডভোকেট সোহেল রানা, পঞ্চগড় হতেঃ

দেশের  সর্ব উত্তরের জেলা  হিমালয়ের কোল ঘেষা পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় আজকে দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। হিমেল বাতাসের কারণে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আজ কয়েকদিন হলোই চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।

সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেশ কনকনে ঠান্ডায় নাকাল এই জনপদ।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ডের তথ্য দেয় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। এর তিন ঘণ্টা পর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আরও কমে ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে দাঁড়ায়। যা এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

উত্তরের হিমেল বাতাসে তেঁতুলিয়ায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। বিকেল থেকেই উত্তর দিক থেকে হিমেল বাতাস বইতে শুরু করে। চারপাশে কুয়াছন্ন পরিবেশের সাথে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। মধ্যে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে চারপাশ। শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চা-পাথর, রিকশাভ্যানচালকসহ শ্রমজীবীরা। দৈনন্দিন আয় কমে গেছে দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষের।

এই কনকনে শীতে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনযাপন করছে। বিভিন্ন এলাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে বাড়ির আশপাশে এবং পথঘাটে শীতার্তদের শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।

এদিকে, প্রচণ্ড শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা। শীতের কারণে অনেকেই কাজে যেতে পারেন না। কারণ এ জেলার নিম্ন আয়ের মানুষরা বেশির ভাগ পাথর, চা শ্রমিক ও দিনমজুর। ফলে শীতে কাহিল তারাও।

আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে শীতার্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। অসহনীয় এই অব্যাহত শীতে শিশু এবং বয়স্ক মানুষ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে কিংবা চিকিৎসা নিচ্ছে স্থানীয় ভাবে।

পঞ্চগড়ের ক্রাইম ডায়রি'র নিজস্ব সংবাদদাতা সরেজমিনে জানিয়েছেন  তেঁতুলিয়ায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। পঞ্চগড় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে  তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

ক্রাইম ডায়রি / জেলা