বান্দরবানে গহীন অরন্যে সেনা-সন্ত্রাসী বন্দুক যুদ্ধঃ সেনাকর্মকর্তাসহ নিহত ৪
দেশ ও জাতীর গর্বের প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দেশ মাতাকে রক্ষায় জীবনবাজি রেখে দেশের প্রতি তাদের অবদান রেখে চলেছে সর্বদায়। গহীন অরণ্য এলাকা রুমা-রাঙামাটি সীমান্তবর্তী বথিপাড়ায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার সহ তিন বন্দুকধারী স্পট ডেড হন। নিহত সেনা কর্মকর্তার প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম ও জান্নাত কামনা দেশবাসীর।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশ ও জাতীর গর্ব। জীবনবাজি রেখে দেশমাতাকে রক্ষায় তাদের অবদান অনস্বীকার্য। একজন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসারের জীবন এ দেশের মানুষের কাছে মহামূল্যবান। নিহত সেনা কর্মকর্তার প্রতি দেশবাসীর সশ্রদ্ধ সালাম।
বান্দরবান সংবাদদাতাঃ
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের গহীন অরন্য এলাকা রুমায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে একদল সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে এক সেনা কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশ ও জাতীর গর্ব। জীবনবাজি রেখে দেশমাতাকে রক্ষায় তাদের অবদান অনস্বীকার্য। একজন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসারের জীবন এ দেশের মানুষের কাছে মহামূল্যবান। নিহত সেনা কর্মকর্তার প্রতি দেশবাসীর সশ্রদ্ধ সালাম।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) ফেব্রুয়ারী ৩,২০২২ইং বৃহস্পতিবার সকালে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।
জানা গেছে, গোলাগুলিতে ফিরোজ নামের একজন সৈনিক আহত হয়েছেন। নিহত সেনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে নিহত জনসংহতি সমিতির ৩ সন্ত্রাসীর নাম এখনও জানা যায়নি।
আইএসপিআর সুত্রে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারী ২,২০২২ইং বুধবার রাতে সাড়ে ১০টায় বান্দরবানের রুমা উপজেলার রুমা-রাঙামাটি সীমান্তবর্তী দুর্গম বথিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ।
অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে একটি এসএমজি, ২৭৫ রাউন্ড গুলি, তিনটি ম্যাগাজিন, তিনটি গাদা বন্দুক, গাদা বন্দুকের ৫ রাউন্ড গুলি, চার জোড়া ইউনিফর্ম এবং ‘চাঁদাবাজির’ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা উদ্ধার করার কথাও জানানো হয়েছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।
অভিযানে অংশ নেওয়া বান্দরবান সেনা রিজিওনের মেজর এরশাদ উল্লা বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, গোয়েন্দা সূত্রে তারা জানতে পারেন, সন্ত্রাসীদের একটি দল রুমা উপজেলার বথিপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি জন্য জড়ো হচ্ছে। খবর পেয়ে রাইং খিয়াং লেক আর্মি ক্যাম্প থেকে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবের নেতৃত্বে একটি টহল দল সেখানে যায়।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলের একটি জুম ঘর থেকে সন্ত্রাসীরা সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে সেনাসদস্যরাও পাল্টা গুলি করেন। গোলাগুলির একপর্যায়ে জেএসএসের (পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-সন্তু লারমা) তিন সন্ত্রাসী এবং সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলে মারা যান বলে জানান তিনি।
ক্রাইম ডায়রি // জেলা