বগুড়ার সোনাতলায় নদীর তীরে শক্ত বাঁধ জরুরীঃ নদী ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি

সোনাতলায় প্রধান দুটি নদীতে পানি কমতে থাকায় প্রবল স্রোত ও ঘুর্ণাবর্তে তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে।  যমুনা ও বাঙালির করাল গ্রাসে প্রতিদিন বহু ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।

বগুড়ার সোনাতলায় নদীর তীরে শক্ত বাঁধ জরুরীঃ নদী ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

যমুনা ও বাঙালি নদীতে পানি কমতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে নদীতে তীব্র স্রোত ও ঘুর্ণাবর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে, তীরবর্তী এসব এলাকার ফসলি জমি, বাড়িঘর ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।

জাকির হোসেন রণি, উত্তরাঞ্চলীয় অফিসঃ

দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে দ্রুততার সাথে কমে যাচ্ছে ফসলী জমি। জবর দখল, বাড়ি ঘর নির্মান, ভুমি দস্যুদের অত্যাচার, নদী ভাঙ্গন ইত্যাদির শিকার ফসলী জমি। এর মধ্যে বণ্যা কিংবা প্রকৃতিগত বিভিন্ন কারনে প্রায়শ:ই ভাঙ্গনের কবলে পড়ছে বগুড়ার সোনাতলায় যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি।
সম্প্রতি,  সোনাতলায় প্রধান দুটি নদীতে পানি কমতে থাকায় প্রবল স্রোত ও ঘুর্ণাবর্তে তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে।  যমুনা ও বাঙালির করাল গ্রাসে প্রতিদিন বহু ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।
 
  সাংবাদিকদের একটি দল ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় সরেজমিনে গেলে দেখতে পান  সোনাতলার আমতলী, খাটিয়ামারী, নিশ্চিন্তপুর, রংরারপাড়া, পারবগা, শ্যামপুর, খাবুলিয়া, জন্তিয়ারপাড়া, সরলিয়া, মহব্বতেরপাড়া, ভিকনেরপাড়া, আউচারপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় যমুনা ও বাঙালি নদীতে পানি কমতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে নদীতে তীব্র স্রোত ও ঘুর্ণাবর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে, তীরবর্তী এসব এলাকার ফসলি জমি, বাড়িঘর ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র জানায়, সোমবার বিকালে যমুনা নদীতে পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ও বাঙালি নদীতে ৩৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। 

ক্রাইম ডায়রি/কৃষি