হেডমাস্টারের কান্ডঃ অনৈতিক ছবি ভাইরালঃ কঠোর বিচার দাবী শিক্ষক সমাজের

Headmaster's fame: Immoral Picture Viral: Strict justice demands of the teacher community

হেডমাস্টারের কান্ডঃ অনৈতিক ছবি ভাইরালঃ কঠোর বিচার দাবী শিক্ষক সমাজের

বরিশাল ব্যুরোঃ

শিক্ষক হলেন সমাজের মেরুদণ্ড। জাতির কারিগর। প্রাথমিকের এই শিক্ষকদের আচরন,বৈশিষ্ট্য শিক্ষার্থী তার ব্যাক্তি জীবনে ধারন করে বড় হয়। তাই, প্রাথমিক কিংবা হাইস্কুল লেভেলের শিক্ষকদের অনেক সাবধানতার সাথে পথ চলা উচিত।। আর জাতী গঠনের জন্য সরকারের উচিত এই লেভেলের শিক্ষক খুব বুঝেশুনে নিয়োগ দেয়া।। সম্প্রতি ধর্ষণ, ইভটিজিং খুব বেড়ে গিয়েছে।। বেড়ে গিয়েছে অশ্লীলতা। কিশোর ও যুব সমাজ ঝুঁকেছে এসব নীরব অপরাধের পাশাপাশি মাদকেও। এরই ধারাবাহিকতায় বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিসহ ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে নারী সহকর্মীর অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।।।

 

"শিক্ষক হলেন সমাজের মেরুদণ্ড। জাতির কারিগর। প্রাথমিকের এই শিক্ষকদের আচরন,বৈশিষ্ট্য শিক্ষার্থী তার ব্যাক্তি জীবনে ধারন করে বড় হয়। তাই, প্রাথমিক কিংবা হাইস্কুল লেভেলের শিক্ষকদের অনেক সাবধানতার সাথে পথ চলা উচিত।।"

ঘটনাটি ভাইরাল হলে তা আর অস্বীকার করা অত সহজ নয়। প্রমান যেখানে জনগনের হাতে। তাই ঘটনাটি যাচাইয়ের জন্য    উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আকবর  কবীর, সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. রোমাঞ্চ আহমেদ ও সহকারী শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ মনীরুল হকের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ১৬ নভেন্বর সচেতন নাগরিকদের পক্ষ থেকে বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলালের কাছে প্রধান শিক্ষক মো. মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, চাকরি দেয়ার নামে ঘুষ, শিক্ষক বদলি বাণিজ্যসহ ১৭টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এতে উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

সম্প্রতি ওই প্রধান শিক্ষক মোক্তার হোসেন এবং অপর এক প্রধান শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ ছবি বাবুগঞ্জ শিক্ষক সমিতির এক নেতার ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছবিটি ভাইরাল হয়। এ নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জনসহ আলোচনার ঝড় উঠে।

নাম প্রকাশ না করায় শর্তে একজন জানান, দুই সন্তানের জননী ওই শিক্ষিকা বর্তমানে উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। শিক্ষক মোক্তার হোসেন বিভিন্ন সময় প্রধান শিক্ষিকাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব দিলে তিনি তা করে দিতেন। এভাবেই তাদের মধ্যে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে উঠে।

প্রধান শিক্ষিকা ওই বাসায় গেলে তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রধান শিক্ষিকার শর্তসাপেক্ষে মোক্তার হোসেন তার প্রথম স্ত্রীকে গত ২৭ সেপ্টেন্বর নোটারির মাধ্যমে তালাক দেয় এবং ২৯ সেপ্টেন্বর নোটারির মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকার কাবিনে তাকে বিয়ে করে।

এদিকে বিয়ের পরও মোক্তার হোসেন প্রথম স্ত্রীর কাছে থাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী স্বামীর অধিকার পেতে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলালের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় শিক্ষক মোক্তার হোসেন। পরে বিয়ের আগে ওই শিক্ষাকাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তোলা অন্তরঙ্গ ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। 

দুই সন্তানের জনক উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের ইদিলকাঠি গ্রামের অধিবাসী মো. মোক্তার হোসেন বলেন, তার সঙ্গে আমার কর্মক্ষেত্রে সাধারণ পরিচয় ছাড়া অন্য কোনো সম্পর্ক নেই। ভাইরাল হওয়া ছবি সম্পর্কে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি চেপে যেতে অনুরোধ করেন।  অপরদিকে ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষিকা সাংবাদিকদের বলেন, মোক্তার হোসেন আমার জীবন শেষ করেছে। আপনারা তার সঙ্গে আমাকে মিলিয়ে দেন।  মোক্তারের প্রথম স্ত্রী নাছিমা বেগম বানারীপাড়া পল্লী বিদ্যুতে চাকরি করেন। তিনি বলেন, আমার স্বামী আমাকে তালাক দিতে পারে না। ওই প্রধান শিক্ষিকা তাকে ফাঁদে ফেলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ভাইরাল হওয়া ছবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।

বাবুগঞ্জ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. জাহিদুর রহমান সিকদার ও যুগ্ম সম্পাদক মনোয়ার হোসেন দুজনেই জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। ওই শিক্ষক নেতারা বলেন, আমরা সমাজে ছাত্র অভিভাবকদের কাছে মুখ দেখাতে লজ্জা পাচ্ছি।।। বাইরে বের হতে তো বটেই স্কুল খুললে কিভাবে ছাত্র ছাত্রীদের সামনে যাব?? তারা এ ঘটনার কঠোর বিচার চান যাতে করে ভবিষ্যতে কেউ আর এমন কাজের সাহস না দেখায়।। তারা বলেন, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী কঠোর পদক্ষেপ নিবেন বলে আমরা আশাবাদী।। 

ক্রাইম ডায়রি /// শিক্ষা