রক্তচক্ষু দেখালে কি করতে হয় তা আওয়ামী লীগ জানে: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
কেউ যদি রক্তচক্ষু দেখায় তবে আওয়ামীলীগ জানে যে কি করতে হবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে দিয়ে এমনকি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়েও বিএনপি-জামাত ফোন করিয়েছিল। শেখ হাসিনা সেগুলোর তোয়াক্কা করেন নাই, ন্যায়বিচার বন্ধ হয় নাই, ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে।'
অনলাইন ডেস্কঃ
জুলাই ১৮,২০২৩ইং মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে আওয়ামীলীগের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ‘শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা’র শুরুতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এ সতর্কবার্তা দেন।
'বিএনপি দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মানসে সারাদেশে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছে' উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, 'ক'দিন আগে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় তারুণ্যের সমাবেশ করেছে। আমি দেখলাম সেখানে সব ষাটোর্ধ্ব মানুষ, সবাই প্রায় ৫০-৬০ বছর বয়সের তরুণ। মীর্জা ফখরুল সাহেব যদি তারুণ্যের সংজ্ঞাটা একটু বলতেন, তাহলে ভালো হতো।'
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিই তার উদ্দেশ্য। আর আওয়ামী লীগ গণমানুষ থেকে গড়ে ওঠা রাজপথের দল, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যে উজান ঠেলে এগিয়ে যাওয়ার দল। আমরা রাজপথে আছি, নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকব। জনগণের রায় নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মত প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়ে তারপর আমরা ঘরে ফিরে যাব।'
হাছান মাহমুদ বলেন, 'বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন-কানুন অনুযায়ীই দেশ চলবে, কারো প্রেসক্রিপশনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ চলবে না, তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা, যার ধমনীতে শিরায় বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবাহমান। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে দিয়ে এমনকি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়েও বিএনপি-জামাত ফোন করিয়েছিল। শেখ হাসিনা সেগুলোর তোয়াক্কা করেন নাই, ন্যায়বিচার বন্ধ হয় নাই, ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে।'
'যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল এসে তত্ত্বাবধায়ক কিংবা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কিছু বলে নাই' স্মরণ করিয়ে মন্ত্রী হাছান বলেন, 'নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কি পদত্যাগ করেন এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, তারাই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার আগামী নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।'
সমাবেশে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী সংগঠন। বিএনপির মির্জা ফখরুল সাহেব ক'দিন পরপর চট্টগ্রামে আসছেন, এখানে এসে লাভ নাই। যদি বাড়াবাড়ি করেন আপনাদের আন্দোলন বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়া হবে।
ক্রাইম ডায়রি/ রাজনীতি