বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে মির্জা আব্বাসের ৩৬ ঘণ্টার আলটিমেটাম
৩৬ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশে না পাঠালে এবং তার কিছু হয়ে গেলে পরিণতি শুভ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
দেশনেত্রীর যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে আপনাদের কারও কোনো অস্তিত্ব বাংলাদেশে আমরা রাখব না। আমি দুঃখিত, আমি বোধহয় একটু আবেগপ্রবণ হয়ে গেছি।
নাজিমুদ্দিন আজহারী:
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আমি আবারও সরকারকে অনুরোধ জানাব, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টা সময় চলে গেছে, আর ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে যেন দেশনেত্রীকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়। এই অবস্থায় দেশনেত্রীর যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে আপনাদের কারও কোনো অস্তিত্ব বাংলাদেশে আমরা রাখব না। আমি দুঃখিত, আমি বোধহয় একটু আবেগপ্রবণ হয়ে গেছি।
তিনি আরও বলেন, কীভাবে অমানবিকের মতো একটা কথা বলেন যে, খালেদা জিয়াকে বাইরে পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই, আইনের জটিলতা আছে। একটা মানুষের জীবন বাঁচাতে পৃথিবীর কোনো আইন-টাইন কাজে লাগে না। যখন জীবন বাঁচানোর প্রয়োজন হয় তখন তার জন্য যে চিকিৎসা দরকার সেখানে মানবিকতাই একটা আইন।
মির্জা আব্বাস বলেন, যেদিন বিএনপির চেয়ারপারসনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেদিন থেকেই তাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছে। এই গ্রেফতার ছিল তাকে হত্যা করার জন্য, আমরা বুঝতে পারিনি। অসুস্থ হওয়ার পরে আমরা বলা শুরু করেছি তিনি অসুস্থ হয়েছেন। আসলে তাকে গ্রেফতার করে অসুস্থ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হবে- এটাই ছিল তাদের প্ল্যান। সেই প্ল্যান এখন কার্যকর করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি নেত্রীর অসুস্থতা দীর্ঘদিনের হলেও দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তার চিকিৎসার জন্য শক্ত কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
ক্রাইম ডায়রি/রাজনীতি