বিএনপি জামাত হতে আওয়ামিলীগে,সরকারী দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নঃক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জামাত বিএনপিঃ অপরাধ করছে বেইমানেরা

From BNP to Jamaat to Awami League, the image of the ruling party is being tarnished Jamaat BNP: Dishonest people are committing crimes

বিএনপি জামাত হতে আওয়ামিলীগে,সরকারী দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নঃক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জামাত বিএনপিঃ অপরাধ করছে বেইমানেরা
বিএনপি জামাত হতে আওয়ামিলীগে,সরকারী দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নঃক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জামাত বিএনপিঃ অপরাধ করছে বেইমানেরা

From BNP to Jamaat to Awami League, the image of the ruling party is being tarnished Jamaat BNP: Dishonest people are committing crimes

ক্রাইম ডায়রি ডেস্কঃ

পরপর কয়েকবার বিজয়ী হয়ে সরকারে আছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। শেখহাসিনার দূরদর্শিতা ও পুরো দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দৃঢ়বন্ধন এই দলকে ক্ষমতার কেন্দ্রে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড়ভূমিকা পালন করেছে। আর ক্ষমতার মোহে পড়ে বেঈমানেরা ভোল পাল্টেছে, দলও পাল্টেছে।  তবে ত্যাগীরা সকল বিপদ সমস্যার মাঝেও ধরে আছে দলের হাল। তৃনমুল পর্যায়ের কর্মীরাও দল ছাড়েনি। যারা বেঈমানী করে মুমূর্ষু সময়ে দল ত্যাগ করে সরকারি দলে যোগ দিয়েছে তারা মূলতঃ ব্যবসায়ীক সুবিধা কিংবা ব্যাক্তিগত সুবিধা আদায় করছে। কাল সরকার পরিবর্তন হবে পরশু  এরাও ভোল পাল্টাবে আর বলবে বিপদে ছিলাম তাই এটা করতে বাধ্য হয়েছি। অথচ এদের নিরব সমর্থন থাকলেও বিপদগ্রস্ত দলগুলো সাহস পেত। আর এরা আওয়ামীলীগে এসেই হয়ে গেছে বিগবস। যে কারনে আবার অবমূল্যায়িত হয়েছে আওয়ামিলীগের ত্যাগীরা।

টাকার জোরে ওরা ত্যাগীদের পদকে কিনে নিয়েছে। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এরাই অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে। মন্ত্রী এমপি, কেন্দ্রীয় নেতাদের ব্যবহার করে গড়ে তুলেছে ক্ষমতার বলয়। রিজেন্ট শাহেদদের মতো এরাই এখন কিং। আর নেতা, মন্ত্রী-এমপিরা নিজ বলয় ভারি করতে ‘ফুলের তোড়ায়’ বরণ করে নেন বিএনপি ও জামায়াত-শিবির নেতাদের। যাদের অনেকের বিরুদ্ধে ছিল আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী হত্যাসহ নাশকতা ও অবৈধ অস্ত্রের একাধিক মামলা। দল বদল করে আওয়ামী লীগে এসে রাতারাতি পুনর্বাসিত হয়েছেন তারা। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শবিরোধী       ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীরা এখন জেলা-উপজেলায় চালকের আসনেও বসেছেন। ‘অন্য দল থেকে আওয়ামী লীগে নয়’ দলের হাইকমান্ডের এমন নির্দেশনা থাকলেও তোয়াক্কা করেননি মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা। গত পৌনে ১১ বছরে কমপক্ষে অর্ধলক্ষাধিক অনুপ্রবেশ ঘটেছে আওয়ামী লীগে। সম্প্রতি জাতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা একটি গভীর অনুসন্ধান চালায়। সেই  অনুসন্ধানে দুই থেকে আড়াইশ নেতার নাম এসেছে যারা বিএনপি, জামায়াত-শিবির এবং ফ্রীডম পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই ‘পরশ পাথরের’ ছোঁয়ায় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবি পেয়েছেন। কেউ কেউ উপজেলা, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রও হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর প্রতীক নৌকা নিয়ে। তারাই এখন ছড়ি ঘুরাচ্ছেন জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়নে। পরিস্থিতি এমন যে কোথাও কোথাও নব্য আওয়ামী লীগারদের হাতে আওয়ামী লীগ বা তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মার খাচ্ছেন, অপমান-অপদস্ত হচ্ছেন। তাদের পক্ষে এখন আওয়ামী লীগ করাই দুরূহ  হয়ে দাঁড়িয়েছে।       

গভীর অনুসন্ধানে জানা গেছে , বিএনপি ও জামায়াত-শিবির ছেড়ে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ শুরু হয় ২০০৯ সাল থেকে। আর এই অনুপ্রবেশ স্রোতের আকার ধারণ করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী চারদলীয় জোটের সহিংস আন্দোলন দমে যাওয়ার পর থেকে। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে এখন বিএনপি-জামায়াত খুঁজে পাওয়া ভার। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার এবার টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় পর্যায়ে যেন সবাই আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে। যাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ‘কাউয়া’ এবং ‘হাইব্রিড’ নামে অভিহিত করে আলোচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে বাস্তবতা এমন যে এসব নব্য আওয়ামী লীগারদের দাপটে সারা দেশে মূল স্রোতের আওয়ামী লীগাররাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, কুমিল্লা, জামালপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মেহেরপুরসহ বিভিন্ন জেলায় বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগে বেশি যোগদান করেছেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা করার নির্দেশ দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো তালিকা করা হয়নি। জেলা-উপজেলার নেতারাও কেন্দ্রে কোনো তালিকা জমা দেননি। বাধ্য হয়ে দলীয় সভানেত্রী নিজের তত্ত্বাবধানে পাঁচ হাজার অনুপ্রবেশকারীর তালিকা করে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতে দিয়েছেন। ফলে টনক নড়েছে দায়িত্বপ্রাপ্তদের।জামায়াত-শিবির ও বিএনপি নেতাদের নিয়ে যেসব কেন্দ্রীয় নেতা, এমপি-মন্ত্রী বেশি সমালোচনা করছেন তাদের অনেকের হাত ধরেই অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, তাহলে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ গণমানুষের কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষেরা পথহারা হয়ে যাবে যদি এমন চলতে থাকে। আর বিএনপি জামাত হতে যারা এসেছে তারা সেই দল গুলি হতে সুবিধা নিয়েছে, এখন দলের বিপদে ভোল পাল্টেছে।  সুবিধা আদায় শেষ হলে পুনরায় এরা আওয়ামীলীগের সাথেও বেঈমানী করবে।

আওয়ামীলীগে প্রবেশকারী হাইব্রিডদের তালিকা দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন ----https://www.google.com/amp/s/www.bd-pratidin.com/amp/first-page/2019/11/02/471068

ক্রাইম ডায়রি / রাজনীতি