সিরাজগঞ্জের বাঘুটিয়া চেয়ারম্যানের কাছে চাঁদা দাবী করা সেই ভুয়া দুদক কর্মকর্তা গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জের  বাঘুটিয়া চেয়ারম্যানের কাছে চাঁদা দাবী করা সেই ভুয়া দুদক কর্মকর্তা গ্রেফতার

ভূয়া সংবাদকর্মী,ভূয়া পুলিশ অফিসার ইত্যাদি শোনা গেছে এবার গ্রেফতার হলো দুদকের ভুয়া পরিচয়দানকারী কর্মকর্তা। এমনটি ঘটেছে, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাহহার সিদ্দিকীর সাথে। তার কাছে চাঁদা দাবি করা হয়। 

এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন,সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতাঃ

ভূয়া সংবাদকর্মী,ভূয়া পুলিশ অফিসার ইত্যাদি শোনা গেছে এবার গ্রেফতার হলো দুদকের ভুয়া পরিচয়দানকারী কর্মকর্তা। এমনটি ঘটেছে, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাহহার সিদ্দিকীর সাথে। তার কাছে চাঁদা দাবি করা হয়।  ভুয়া দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দান করে তার নামে অভিযোগ আছে এমন ভয় দেখিয়ে তাকে দ্রুত ঢাকায় দুদকের হেড অফিসে আসতে বলে  এই প্রতারক। আগষ্ট ০৯,২০২১ইং তারিখ সোমবার দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে তিনি এলে বেড়িয়ে আসে থলের বেড়াল।  থেকে দুদকের উপপরিচালক পরিচয় দেয়া ফয়সালের নামের ঐ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।   রমনা থানার এসআই মাসুদ রানা ক্রাইম ডায়রিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

The fake ACC official who demanded extortion from the chairman of Baghutia in Sirajganj was arrested

রমনা থানা সুত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ফয়সালের আসল নাম জাহাঙ্গীর আলম। তার বাড়ি ঢাকার ধামরাই উপজেলার সোয়াপুর গ্রামে। বাবার নাম মো. আব্দুল খালেক।

অভিযোগ সুত্রে  জানা গেছে, চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কাহহার সিদ্দিকীকে রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে নিজেকে দুদকের উপপরিচালক ফয়সাল বলে পরিচয় দেয়। এ সময় ওই চেয়ারম্যানকে তিনি বলেন- আপনার নামে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ আমার কাছে আছে। এই অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে আমি আছি। আপনি সোমবার সকালে আমার সঙ্গে দেখা করবেন। না আসলে অসুবিধা হবে। এসে কিছু টাকা-পয়সা দিলে অভিযোগটি শেষ করে দিতে পারব। পরে সোমবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের সামনে এসে ঐ কর্মকর্তাকে বারবার ফোন দিলে সময়ক্ষেপণ করেন। এক পর্যায়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের মেইন গেটের সামনে সাক্ষাৎ করে একটি চিঠি ধরিয়ে দেয় ফয়সাল।

তিনি বলেন, তখন তার কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হলে দুদকের নিরাপত্তারক্ষী আক্তারুজ্জামান, মুকুল মিয়া ও মুখলেছুর রহমানের সহায়তায় ভুয়া দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দানকারী ফয়সালকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তার দেয়া পরিচয়সহ সব তথ্য মিথ্যা ও ভুয়া প্রমাণিত হলে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে ভুয়া  কর্মকর্তা পরিচয় দানকারীর নিকট হতে দুদকের মহাপরিচালক (তদন্ত) মো. রেজানুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি ভুয়া চিঠি, একটি ভুয়া আইডি কার্ড (নাম: ইমতিয়াজ আহমেদ, পদবি: সহকারী পরিদর্শক, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ১, সেগুনবাগিচা, ঢাকা), কয়েকটি ব্যাংকের চেক, ২টি মোবাইল সেট, এটিএম কার্ড ও নগদ ১৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ক্রাইম ডায়রি//ক্রাইম