মার্কিন কোম্পানীগুলোকে বিনিয়োগের আহবান জানালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বিশ্বাস যে মার্কিন কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, আইসিটি, অবকাঠামো, হালকা প্রকৌশল এবং ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল শিল্প, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং সিরামিকের মতো সম্ভাব্য এবং উৎপাদনশীল খাতে আরো বেশি সুবিধা নেবে এবং বিনিয়োগ করবে।

মার্কিন কোম্পানীগুলোকে  বিনিয়োগের আহবান জানালেন প্রধানমন্ত্রী
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

ইতোমধ্যে শিল্পায়নের সুবিধার্থে তারা সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ১০৯টি হাই-টেক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং আইটি প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করছে। তিনি বলেন, গত বছর চালু হওয়া পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সাথে সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপন করেছে।

শাহাদাত হোসেন রিটন:

বঙ্গকন্যা ও লৌহমানবী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, আইসিটি এবং অবকাঠামো খাতে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বৃহত্তর বিনিয়োগের করার জন্য আহ্বান করেছেন।২৯ আগস্ট মঙ্গলবার  সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ‘ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’-এর উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে দেয়া প্রারম্ভিক ভাষণে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস যে মার্কিন কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, আইসিটি, অবকাঠামো, হালকা প্রকৌশল এবং ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল শিল্প, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং সিরামিকের মতো সম্ভাব্য এবং উৎপাদনশীল খাতে আরো বেশি সুবিধা নেবে এবং বিনিয়োগ করবে।

বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা  বলেন, ‘বাংলাদেশের বাজারে বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় পরিবেশ নিশ্চিত করেছে যার মধ্যে রয়েছে একটি উদার শিল্পনীতি, ওয়ান-স্টপ সার্ভিস, শতভাগ বিদেশী মালিকানার জন্য ভাতা, সহজ প্রস্থাননীতি, ১৫ বছরের কর অব্যাহতি, আমদানি করা যন্ত্রপাতির জন্য ভ্যাট অব্যাহতি, সুগমিত পরিষেবা এবং আরও অনেক কিছু।

তিনি জানান,  ইতোমধ্যে শিল্পায়নের সুবিধার্থে তারা সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ১০৯টি হাই-টেক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং আইটি প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করছে। তিনি বলেন, গত বছর চালু হওয়া পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সাথে সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপন করেছে।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে উন্মুক্ত প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ নীতি রয়েছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্ব পারস্পরিকভাবে উভয় দেশের জন্য সহায়ক এবং দু’দেশের পারস্পরিক বিশ্বাস অত্যন্ত গভীরে প্রোথিত। স্বাধীনতার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদারদের একজন এবং আমাদের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে অবদান রেখে চলছে। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশের জন্য এফডিআই এবং রফতানি বাজারের একক বৃহত্তম উৎস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর প্রবৃদ্ধির গতিপথকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার নাগরিকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী টেকসই প্রবৃদ্ধির কৌশল অনুসরণ করছে। এই টেকসই কৌশল বিশ্ব অর্থনীতিবিদ ও সংস্থাগুলো স্বীকার করেছে।তিনি আরো বলেন, তারা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে অনেক বেশি সম্ভাবনা থাকায় আমাদের ব্যবসা এবং বিনিয়োগ নীতিকে সহজ করতে এবং এটিকে আপনাদের জন্য সহায়ক করতে আমি সর্বোত্তম সম্ভাব্য নীতি কাঠামোর বিষয়ে আশ্বস্ত করতে চাই।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইউএস-বাংলাদেশ এনার্জি টাস্কফোর্স এবং ইউএস-বাংলাদেশ ডিজিটাল ইকোনমি টাস্কফোর্স তাদের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার মাধ্যমে উভয় দেশের কোম্পানিগুলোর সহযোগিতা আরো গভীর করতে অবদান রাখবে।’

১৭০ মিলিয়ন মানুষের বাজার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রায় তিন বিলিয়ন গ্রাহকের বাজারের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে।তিনি বলেন, তার সরকার প্রতিবেশীদের সাথে কানেকটিভিটির ধারণাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে এবং যা বর্তমানে বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো: তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন। ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, দক্ষিণ এশিয়া ইউএস চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূত (অবসরপ্রাপ্ত) অতুল কেশপ, এক্সেলারেট এনার্জি (বোর্ড চেয়ার এবং মিশন প্রধান) সভাপতি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভেন কোবোস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ক্রাইম ডায়রি/জাতীয় //সূত্র : বাসস