পরকীয়া প্রেমঃখুনি ভাড়া করে স্বামীকে হত্যা করল স্ত্রী
এসব পরিকল্পনার সব বিষয়ই নিহত হাসেমের স্ত্রী সুফিয়া জানত। তাকে জানিয়ে এ কিলিং মিশন সাজানো হয়েছিল।

ন্যাক্কার জনক এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও প্রধান আসামি ওসমান ওরফে আসমানের সঙ্গে নিহত ভ্যানচালক হাসেমের স্ত্রী সুফিয়া আক্তারের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল।
আরিফুল ইসলাম কাইয়্যুম, ভ্রাম্যমান সংবাদদাতাঃ
জঘন্য এই হত্যাকাণ্ডের দুই কিলারকে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার আসামি শহিদুল ইসলাম ও জসীম উদ্দিন পুলিশের কাছে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার দায় স্বীকার করেছে। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ন্যাক্কার জনক এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও প্রধান আসামি ওসমান ওরফে আসমানের সঙ্গে নিহত ভ্যানচালক হাসেমের স্ত্রী সুফিয়া আক্তারের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। পুরো হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষ তদারকি করেন মাস্টারমাইন্ড ওসমান। এসব পরিকল্পনার সব বিষয়ই নিহত হাসেমের স্ত্রী সুফিয়া জানত। তাকে জানিয়ে এ কিলিং মিশন সাজানো হয়েছিল।
আসামি ওসমান হাসেমের স্ত্রীকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে হাসেমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এ জন্য জসীম ও শহীদুল নামে দুজনের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকায় ভাড়া করে। পুলিশ জানায়, হত্যার আগে হাসেমকে ঘটনার দিন ২৩ জুন রাত ১০টার দিকে একটি তালাবদ্ধ বাড়িতে তাস খেলার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায় ওসমান। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভাড়াটিয়া খুনি জসীম ও শহীদুল মিলে হাসেমের চোখ, হাত বেঁধে প্রথমে কিল-ঘুষি, লাথি ও পরে শ্বাসরোধ করে হাসেমকে হত্যা করে তার লাশ পার্শ্ববর্তী পাটক্ষেতে ফেলে রেখে যায়।
পুলিশ আরও জানায়, হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি ওসমান ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে আছে। অপর দুই আসামিরা হলো— একই উপজেলার রুহুল্লি গ্রামের মো. আফাজ উদ্দিনের ছেলে শহীদুল ইসলাম (৩২) এবং একই উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে মো. জসীম উদ্দিন (৪০)।
মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ কামরুল হাসান এবং ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, এসআই আজাহার, এসআই নাজমুল ও এসআই মনিরের সমন্বয়ে একটি চৌকস টিম তিন দিনের অভিযান শেষে এই হত্যা মামলাটির মূল রহস্য উন্মোচন করেন বলে জানা গেছে।
ক্রাইম ডায়রি/ আইন শৃংখলা