দেশে সংঘাত-সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার জন্য দায়ী ভুয়া অনলাইন: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এসব ব্যাপারে আমাদের এক্সট্রা কেয়ারফুল হতে হবে৷ তা না হলে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটবে।

দেশে সংঘাত-সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার জন্য দায়ী ভুয়া অনলাইন: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার ঘটনায় ভুয়া অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দায়ী৷ বাংলাদেশে যত ধরনের হানাহানি ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে সবগুলোর জন্য ভুয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দায়ী

শরীফা আক্তার স্বর্ণাঃ

দেশে ইদানিং কালে অনলাইন মাধ্যমের যথেচ্ছা ব্যবহার বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। এতে আপামর জনতা ডিজিটালাইজড হলেও এর সুফলের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণের যথেষ্ট অভাব থাকায় বিরুপ প্রভাবও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। 

এ বিষয়ে আওয়ামীলীগের স্মার্ট লিডার  তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নাসিরনগর, রামু, কুমিল্লা, বরিশালে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার ঘটনায় ভুয়া অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দায়ী৷ বাংলাদেশে যত ধরনের হানাহানি ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে সবগুলোর জন্য ভুয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দায়ী।

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বুধবার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন৷

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এসব ব্যাপারে আমাদের এক্সট্রা কেয়ারফুল হতে হবে৷ তা না হলে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটবে৷ এসব ঘটনা আমরা মোকাবিলা করেছি এবং যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে বলে তিনি জানান।

ড. হাছান মাহমুদ  বলেন, আজকে যা করা হচ্ছে চোরাগোপ্তা হামলা, পেট্রলবোমা মারা, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা, এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে কি?  ইদানীং কালের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও  বিএনপির সমালোচনা করে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, গত ২৮ তারিখ যেভাবে পিটিয়ে পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে, বর্বরভাবে সাংবাদিককে পেটানো হয়েছে, সাপ পেটানোর সময় মানুষ এ রকম করে কিনা সন্দেহ আছে৷ তারা সেই কাজটি করেছে৷ গণমাধ্যমের সবাই যদি এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন তাহলে এ কাজ তারা করতে পারবে না।

মন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে৷ বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই৷

মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে এখন ৩৫ টি বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে, সরকারি ৪টি টেলিভিশন আছে৷ আমরা প্রায় ৫০টি টেলিভিশনের লাইসেন্স দিয়েছি৷ এখন দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ৫৬০ থেকে ১২৬০টিতে উন্নীত হয়েছে৷ পত্রিকা এবং অনলাইন মিলে ২শ’র কাছাকাছি পোর্টাল আমরা রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দিয়েছি৷ নতুন গণমাধ্যম বিকশিত হওয়ায় অনেক মানুষের চাকরির সংস্থান হচ্ছে৷

ড. হাছান মাহমুদ  বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে৷ ১৭ কোটি মানুষের দেশে ১৮ কোটি সিম ব্যাবহৃত হয়৷ কারও দুই-তিনটা করে সিম৷ আমরা সরকার গঠন করার আগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৬০ লাখ, এখন সেটা ১২ কোটি৷ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন ৬ থেকে ৭ কোটি মানুষ৷ এখন দেশ সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল হয়েছে৷ এর সুবিধা গণমানুষ পাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ক্রাইম ডায়রি // জাতীয়