ইউনূস প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী জানালেন কাউকে কারাগারে পাঠানোর পরিকল্পনা সরকারের নেই

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আইন ও আদালত স্বাধীন। সে কারণেই সরকারি দলের অনেক এমপির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তারা কারাগারেও গেছেন। 

ইউনূস প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী জানালেন কাউকে কারাগারে পাঠানোর পরিকল্পনা সরকারের নেই
ছবি-অনলাইন হতে সংগৃহীত

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে পারে, আমরা সেই বাংলাদেশ রচনা করতে চাই। সেটি করার ক্ষেত্রে শিশুপ্রতিভা বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই ক্ষেত্রে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব অনন্য ভূমিকা রাখছে। 

অনলাইন ডেস্কঃ

আইন ও আদালত যেভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, সরকার সেটি পালন করে মাত্র। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। ।’ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন,  ‘কাউকে কারাগারে পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমিতে চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি  বাংলাদেশ আয়োজিত ষোড়শ আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী । পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বিএনপি মহাসচিব  ও ড. ইউনূসের কারাবরণের আশঙ্কা নিয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আইন ও আদালত স্বাধীন। সে কারণেই সরকারি দলের অনেক এমপির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তারা কারাগারেও গেছেন। 

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন, তিনি  একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক। তার প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধা দুটি রেখে বলতে চাই- কেউ নোবেল পুরস্কার পেলে আইনের ঊর্ধ্বে হন না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নোবেল লরিয়েটের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, এমন কী তারা কারাগারেও গেছেন। এর আগে চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনে মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে পারে, আমরা সেই বাংলাদেশ রচনা করতে চাই। সেটি করার ক্ষেত্রে শিশুপ্রতিভা বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই ক্ষেত্রে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব অনন্য ভূমিকা রাখছে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের শিশুরা অনেক মেধাবী। তাদের সেই মেধাকে যদি বিকশিত করতে পারি তারা দেশ ও সমাজ গঠনে, উন্নত মানবিক জাতি গঠন ও বিশ্বব্যাপী শান্তি স্থাপনে বিরাট ভূমিকা রাখবে। এ ক্ষেত্রে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব অনেক বড় ভূমিকা রাখে, কারণ এখানে শিশুরা নিজেরাই ছোট ছোট চলচ্চিত্র বানায়, আজকে উপস্থাপকরাও ছিল শিশু। ১৬ বছর ধরে ধারাবাহিক এ উৎসব আয়োজকদের আমি ধন্যবাদ জানাই। শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সূচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম এবং সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগান নিয়ে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবে ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তন ও অলিয়ঁস ফ্রসেজ গ্যালারিতে ৩৯টি দেশের ১০১টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।

ক্রাইম ডায়রি// জাতীয়