ফিলিস্তিন পরিস্থিতি: গাজার কাছে লক্ষ সেনা মোতায়েন করলো ইহুদীরা

আর যখন নিজ ঘরে ফেরার জন্য ও প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে মুসলিমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ঠিক তখনই বিশ্ব অমুসলিম মানবতা যেন মায়া কান্নায় অস্থির হয়ে পড়েছে। 

ফিলিস্তিন পরিস্থিতি: গাজার কাছে লক্ষ সেনা মোতায়েন করলো ইহুদীরা
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

ইহুদীরা সময়ের পরিক্রমায় স্থানীয় মুসলিমদের উপর পৃথিবীতে যতরকমের নির্যাতন হয়েছে সবধরনের নির্যাতন করে নিজ আবাসভূমি হতে গায়ের জোরে বিতারিত করেছে

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইহুদীরা সময়ের পরিক্রমায় স্থানীয় মুসলিমদের উপর পৃথিবীতে যতরকমের নির্যাতন হয়েছে সবধরনের নির্যাতন করে নিজ আবাসভূমি হতে গায়ের জোরে বিতারিত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় নিজ ঘরে ফেরার চেষ্টা করছিল নির্যাতিত অসহায় ফিলিস্তিনের মুসলিম জনতা।

প্রতিনিয়ত নারী শিশু ও বৃদ্ধদের উপর ইহুদিদের চরম মাত্রার নির্যাতন স্থানীয়  মুসলিম সমাজকে কঠোর হতে নিয়ামক হিসাবে কাজ করেছে। আর যখন নিজ ঘরে ফেরার জন্য ও প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে মুসলিমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ঠিক তখনই বিশ্ব অমুসলিম মানবতা যেন মায়া কান্নায় অস্থির হয়ে পড়েছে। 

মুসলিমদের নিকট এতদিন যারা আইকন ছিল তারা মুসলিমদের বিজয়ে কিংবা প্রতিরোধ শক্তিকে প্রতিপক্ষের মতো জবাব দিতে শুরু করেছে। মজলুম জনতার পক্ষে কথা না বলে তারা এখন মানবতা নিয়ে ব্যস্ত। রাজনৈতিক ধর্ম ব্যবসায়ীরা এখন নিরব। এর পরপরই গাজার কাছে ইসরাইলের এক লাখ রিজার্ভ সেনা মোতায়েন করেছে ইহুদী সরকার। 

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। হামাসকে কোণঠাসা করতে এবার গাজা উপত্যকার কাছে এক লাখ রিজার্ভ সেনা মোতায়েন করেছে ইসরাইল। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জোনাথন কনরিকাস নামের ওই মুখপাত্র বলেন, আমরা প্রায় এক লাখ রিজার্ভ সেনা মোতায়েন করেছি। এসব সেনা বর্তমানে দক্ষিণ ইসরাইলে অবস্থান করছে।

সামাজিক মাধ্যম এক্সে (আগের নাম টুইটার) পোস্ট করা এক ভিডিওতে ওই সেনা কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কাজ এই যুদ্ধের অবসান নিশ্চিত করা। ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিকদের হুমকি দেওয়ার মতো আর সামরিক সক্ষমতা হামাসের থাকবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

জোনাথন কনরিকাস আরও বলেন, আমরা এটাও নিশ্চিত করতে চাই যে, হামাস গাজা উপত্যকায় শাসন করতে পারবে না। দক্ষিণ ইসরাইলে অনুপ্রবেশকারী ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের প্রতিহত করবে ইসরাইলি সেনারা।

এর আগে গত শনিবার (৭ অক্টোবর) কয়েক হাজার রকেট লঞ্চারসহ ভারী অস্ত্র নিয়ে ইসরাইলের ভেতরে হামলা চালায় হামাস। জবাবে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী।

হামলার পর পরই এর দায় স্বীকার করে নেয় হামাস। ২০ মিনিটে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে বলেও দাবি করে ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বড় ও পুরনো এ প্রতিরোধ সংগঠনটি। ঐ সময় হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে তারা। একই সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলে প্রবেশ করতে শুরু করে হামাসের যোদ্ধারা। তার বেশ কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। যদিও পরে ইসরাইলি বাহিনী তাদের পিছু হটতে বাধ্য করে।

এদিকে গত দুই দিনের চলমান সংঘাতে উভয়পক্ষে হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। এ ছাড়া মাত্র একদিনে তেল আবিবের গুরিয়ান বিমানবন্দর দিয়ে অন্তত ৬০ হাজার ইসরাইলি দেশত্যাগ করেছে। এখনো হাজার হাজার মানুষ ইসরাইল ছাড়ার জন্য বিমানবন্দরে ভিড় করছে।

ক্রাইম ডায়রি / আন্তর্জাতিক