পেট্রলবোমা সন্ত্রাসীরা মাঠে নেমেছে, প্রতিরোধ করতে হবে-তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ডক্টর হাসান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশে আমরা কখনো বাধা দিইনি, দেব না। তারা নিজেরা নিজেরাই মারামারি করে। কিন্তু যদি পেট্রলবোমা বাহিনীদের দেখি, তখন কিন্তু আমরা বসে থাকব না, প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’

পেট্রলবোমা সন্ত্রাসীরা মাঠে নেমেছে, প্রতিরোধ করতে হবে-তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

ড. হাছান বলেন, ‘কাগজে দেখলাম বিএনপি মহাসচিব বলেছেন সরকার নাকি বিদেশিদের চাপে কোনো সমাবেশে বাধা দিচ্ছে না। অথচ আমাদের নেত্রী কদিন আগে বলেছেন, আমরা বিএনপির কোনো সমাবেশে বাধা দেব না এবং আমরা দেইনি।

হোসেন মিন্টু, চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিসঃ

 তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির পেট্রলবোমা সন্ত্রাসীরা আবার মাঠে নেমেছে। তাদের প্রতিরোধ করতে হবে এবং তাড়িয়ে দিতে হবে। তিনি আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের সকল  নেতাকর্মীকে চোখ কান খোলা রাখার আহবান জানান।

ডক্টর হাসান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশে আমরা কখনো বাধা দিইনি, দেব না। তারা নিজেরা নিজেরাই মারামারি করে। কিন্তু যদি পেট্রলবোমা বাহিনীদের দেখি, তখন কিন্তু আমরা বসে থাকব না, প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’

 চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমসাময়িক প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

‘তেলের দাম বাড়াতে বিএনপি এখন বর্ষাকালের পুঁটি আর মলা মাছের মতো একটু লাফাচ্ছে, যার কোনো প্রয়োজন নেই’ উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সমগ্র পৃথিবীতে তেলের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। ৬০ ডলারের তেল ১৭০ ডলারে গিয়েছে। এখন সেটি ১৩৮-৪০ ডলার। দ্বিগুণের চেয়ে বেশি। আমাদের দেশে দ্বিগুণ নয়, সব মিলিয়ে ৩৮-৪০ শতাংশ বাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের সমান করেছি। বিশ্ববাজারে তেলের দাম স্থিতিশীলভাবে কমলে আবার দাম সমন্বয় করা হবে।’

ড. হাছান বলেন, ‘কাগজে দেখলাম বিএনপি মহাসচিব বলেছেন সরকার নাকি বিদেশিদের চাপে কোনো সমাবেশে বাধা দিচ্ছে না। অথচ আমাদের নেত্রী কদিন আগে বলেছেন, আমরা বিএনপির কোনো সমাবেশে বাধা দেব না এবং আমরা দেইনি। কিন্তু গতকাল তারা নিজেরাই মারামারি করে নিজেদের সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে। সমাবেশ ডাকলে যারা নিজেরাই চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি, মারামারি করে সমাবেশ পণ্ড করে, সেখানে বাধা দেওয়ার দরকার নেই। ভবিষ্যতেও দেখবেন যখনই বিএনপি সমাবেশ ডাকবে তখনই নিজেরা সমাবেশ পণ্ড করে দেবে।’

অতীতের দিকে তাকিয়ে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বিএনপির সময়ে সারা দেশের ৫শ জায়গায় বোমা ফাটানো হয়েছিল। আগামী ১৭ আগস্ট সমগ্র বাংলাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির নৈরাজ্য এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সমাবেশ হবে। রাঙ্গুনিয়ার নেতাকর্মীরাও এতে অংশ নেবে।’

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সেবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হচ্ছে জিয়াউর রহমান এবং তার পরিবার। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সংরক্ষিত প্রসিডিংয়ে আসামি এবং সাক্ষীরা তাদের জবানবন্দিতে সবিস্তারে বলেছেন- কখন কোথায় কীভাবে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে দেখা করেছিল, তিনি কীভাবে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খোন্দকার মোশতাক তার অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহচর ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কুশীলব বলেই জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনী প্রধান করে। সেই জিয়া বন্দুকের নল উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করে, ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করে এবং সেই ধারাবাহিকতাই বিএনপি বয়ে চলেছে।’

রাঙ্গুনিয়ায় অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার পৌর অডিটোরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার ও যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, এমরুল করিম রাশেদ, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।

ক্রাইম ডায়রি/রাজনীতি