ভাড়া বাড়ি-শপিং মলেই চলছে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি

ভাড়া বাড়ি-শপিং মলেই চলছে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি
ভাড়া বাড়ি-শপিং মলেই চলছে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি

গত দশ বছরে অন্তত পাঁচ বার সময় দিয়েও স্থায়ী ক্যাম্পাসে নেয়া যায়নি দেশের অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। বরং আইন অমান্য করে ভাড়া বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাটে বহাল তবিয়তে চলছে প্রতিষ্ঠানগুলো। আবার অনেকে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করলেও শিক্ষার্থী হারানোর ভয়ে বন্ধ করছে না ‘সিটি ক্যাম্পাস’। অথচ এসব অনিয়মের দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার আইন থাকলেও অনেকটাই উদাসীন ইউজিসি।

ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ। ২০০২ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর পেরিয়েছে আঠারোটি বছর। তবু আজো স্থায়ী ক্যাম্পাসের মুখ দেখিনি এর শিক্ষার্থীরা। বরং আইনের তোয়াক্কা না করেই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে ভাড়া বাসায়।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এক্ষেত্রে এগিয়েছে অনেক দূর। দুটি বিশ্ববিদ্যালয় একই বছরে প্রতিষ্ঠা পেলেও এরই মধ্যে আশুলিয়ায় প্রায় দেড়শ একর জমিতে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে অবকাঠামোগত সক্ষমতা সত্ত্বেও আজও সিটি ক্যাম্পাসের লোভ ছাড়তে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। আইন অমান্যের এ প্রতিযোগিতায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা, ভিন্ন ভিন্ন অজুহাত।

এ প্রসঙ্গে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজ বলেন, যারা এখানে ভর্তি হয়েছে, তারা তো এই ক্যাম্পাস দেখে এখানে ভর্তি হয়েছে। তাদের তো জোর করা যাবে না। 


এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের তীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দিকেই।

তারা বলেন, ক্যাম্পাস থাকবে বড়োসড়ো। এগুলোকে দেখলে শপিং মলের মত মনে হয়। এভাবে ভালো লাগে না। 

দেশে ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি থাকলেও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ৯৬টি। যার মধ্যে মাত্র ২৪টির শিক্ষা কার্যক্রম চলছে স্থায়ী ক্যাম্পাসে। বাকিদের অনেকেই শুরুই করেনি স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার কাজ। আইন লঙ্ঘনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিগগিরই শাস্তির আওতায় আনার কথা বলছে ইউজিসি।

ইউজিসির পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, অনেক ইউনিভার্সিটি সিটি ও পার্মানেন্ট সব ক্যাম্পাসেই ভর্তি নিচ্ছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী অনুমোদনের ১২ বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ন্যূনতম এক একর এবং অন্যান্য এলাকায় কমপক্ষে দুই একর অখণ্ড জমি থাকার বিধান রয়েছে।