‘ফিলিস্তিনের সঙ্গে চূড়ান্ত বিশ্বাসঘাতকতা দুই আরব রাষ্ট্রের’

‘ফিলিস্তিনের সঙ্গে চূড়ান্ত বিশ্বাসঘাতকতা দুই আরব রাষ্ট্রের’
‘ফিলিস্তিনের সঙ্গে চূড়ান্ত বিশ্বাসঘাতকতা দুই আরব রাষ্ট্রের’

ইসরাইলের সঙ্গে বাহরাইন এবং আরব আমিরাতের ঐতিহাসিক চুক্তিতে ক্ষোঁভে ফুসছে ফিলিস্তিনিরা। হোয়াইট হাউজে যখন ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় চুক্তি সম্পাদন চলছে তখন অধিকৃত পশ্চিম তীর, রামাল্লা এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মঙ্গলবার আলাদা আলাদা কর্মসূচি বের করেন ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা।

মঙ্গলবার ১৫ সেপ্টেম্বর রাজপথে চুক্তিবিরোধী প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দেন হাজারো ফিলিস্তিনি। আলাদা বিক্ষোভে দুই আরব রাষ্ট্রকে ধিক্কার জানান আন্দোলনকারীরা।

ফিলিস্তিন থেকে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা এবং অবরোধ প্রত্যাহার করে নিলেই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরে আসব বলে জানান অনেকে।

তারা বলেন, ‘ইসরাইল যখন ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনিদের ঘর-বাড়ি অবৈধভাবে উচ্ছেদ এবং গুঁড়িয়ে দিচ্ছে এ বিষয়ে বিশ্বের ক্ষমতাসীন নেতারা নিশ্চুপ। দিনের পর দিন নির্মমভাবে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের গুলি করে হত্যা করছে ইসরাইলি সেনারা।’


বিক্ষোভে ফিলিস্তিনিরা নেতানিয়াহু, ট্রাম্প, বাহরাইনের বাদশাহ এবং আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্সের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তারা। দুই আরব রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের সঙ্গে চূড়ান্ত বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

এই চুক্তিকে প্রত্যাখান করেছে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন সংগঠন। এক বিবৃতিতে আগামী শুক্রবার ১৮ সেপ্টেম্বর শোক পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। ফিলিস্তিনের সকল ভবন এবং বাড়িতে কালো পতাকা তুলতে বলেন সংগঠনের নেতারা।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সময় দুপুরে হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে ইসরাইলের সঙ্গে আমিরাত এবং বাহরাইনের চুক্তি সই অনুষ্ঠান হয়। এর মধ্যে দিয়ে ইহুদি রাষ্ট্রের সঙ্গে দুই আরব দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাল। ঐতিহাসিক এ চুক্তিকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের নতুন ভোর’ আখ্যা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।