বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর গভীর রাতে আত্নহত্যা

বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর গভীর রাতে আত্নহত্যা

জাকির হোসেন রণি, উত্তরাঞ্চলীয় অফিসঃ

কি হচ্ছে সমাজে? এমন অবস্থার জন্য কি দায়ী? খুঁজে বের করা এখন সময়ের দাবী। না হলে ভুক্তভোগীর তালিকায় আমার আপনার পরিবারও যোগ হতে পারে। মানসিকতার এমন পরিবর্তন কিংবা হীনমন্যতায় ভোগা যেন একধরনের ক্রনিক অসুখে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে, ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) এক শিক্ষার্থী। তার নাম আছিয়া আক্তার। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে বগুড়ার সদর থানার মঠুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রেমজনিত কারণে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

নিহত আছিয়া আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বগুড়ার সদর থানার মঠুরা গ্রামের মো. জালাল উদ্দীনের মেয়ে।তবে তার আগে মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন আছিয়া। তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লেখেন– ‘আমার ব্যবহারে কেউ কোনো দিন কষ্ট পেলে দয়া করে আমায় মাফ করবেন। কারণ মৃত্যু কার কখন দুয়ারে আসে আমরা কেউ বলতে পারি না; আল্লাহপাক সবাইকে ভালো রাখবেন।’

আছিয়ার ভাই আল আমীন বলেন, আমি প্রায় রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বারান্দায় বসে পড়াশোনা করে রাত ১টার দিকে রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। পরে মা ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে জেগে দেখেন আছিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। পরে আমরা তাকে নামিয়ে থানায় এসেছি।কেন বা কি উদ্দেশ্য সে আত্নহত্যা করতেপারে এমন বিষয়ে তারাও আঁচ করতে পারছেন না।

বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল করিম বলেন, এই মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেয়ার মতো নয়। আমরা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। বগুড়ার সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনা আমরা জেনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশকে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত তিন মাসে এ নিয়ে বাংলা বিভাগের দুই শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। 

ক্রাইম ডায়রি//জেলা/ক্রাইম