বস্তিবাসীদের জন্য মানসম্মত ফ্ল্যাট হস্তান্তরঃ ভাড়া মাত্র সাড়ে চার হাজার

ক্রমানুসারে সবাই পাবে এসব ফ্ল্যাট । আপাততঃ তৈরি হয়েছে ৫৩৩টি ফ্ল্যাট। রাজধানীর কালশীতে অবস্থিত এই ফ্ল্যাটগুলো খুবই দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক।

বস্তিবাসীদের জন্য মানসম্মত ফ্ল্যাট হস্তান্তরঃ ভাড়া মাত্র সাড়ে চার হাজার

একটি সরকারের নানান সমালোচনা থাকবেই। তবুও থেমে থাকেনা অগ্রযাত্রা। যারা সুবিধা পায় তারা প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয় আর যারা সমস্যায় পড়ে তাদের কাছে সরকার কখনই ভালো হয়না। তবে কিছু নিন্দুকের জন্য কখনই থেমে থাকেনা চলমান উন্নয়ন।

প্রকৌশলী আয়াতুস সাইফ মুনঃ

একটি সরকারের নানান সমালোচনা থাকবেই। তবুও থেমে থাকেনা অগ্রযাত্রা। যারা সুবিধা পায় তারা প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয় আর যারা সমস্যায় পড়ে তাদের কাছে সরকার কখনই ভালো হয়না। তবে কিছু নিন্দুকের জন্য কখনই থেমে থাকেনা চলমান উন্নয়ন। সময়ই বলে দেয় কোনটা ভাল আর কোনটা খারাপ। বঙ্গবন্ধুর সাধের সোনার বাংলা যেন চোখের  সামনে দোদুল্যমান। তারই যোগ্যকণ্য বঙ্গকণ্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে সে উন্নয়নেরই জয়গান এখন সকল বস্তিবাসী দরিদ্রদের মুখে মুখে।
রাজধানীর মিরপুরে বস্তিবাসীদের জন্য ১৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বহুতল ভবনে ৫৩৩টি আধুনিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে সরকার। এর মধ্যে প্রথম দফায় ৩০০টি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়েছে।

৩ জুলাই, ২০২১ ইং মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে বস্তিবাসীদের জন্য মিরপুরে নির্মিত ভাড়াভিত্তিক ৩০০টি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিতীয় দফায় বাকি ২৩৩টি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হবে।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে নির্বাচিত তিনজন উপকারভোগী বস্তিবাসীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে বরাদ্দপত্র তুলে দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। এ সময় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

ঢাকায় বসবাসরত বস্তির এসব এখন থাকবেন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ফ্ল্যাটে। চার হাজার ৫০০ টাকা মাসিক ভাড়া দিতে হবে।  প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন ৬৭৩ বর্গফুট। প্রতিদিন ১৫০ টাকা কিংবা সপ্তাহে এক হাজার ৫০ টাকা করে ফ্ল্যাটের ভাড়া পরিশোধ করা যাবে। 

২০১৭ সালে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বছরের ২৬ অক্টোবর এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রাজধানীর মতিঝিল, আজিমপুর, মিরপুর, মালিবাগ ও তেজগাঁও এলাকায় পাঁচটি আবাসন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।

আজিমপুর সরকারি কলোনিতে রয়েছে ১৭টি ২০তলা ভবনে ১ হাজার ২৯২টি ফ্ল্যাট, মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে ২৮৮টি ফ্ল্যাট, মালিবাগে চারটি ২০তলা ভবনে ৪৫৬টি ফ্ল্যাট এবং মতিঝিলে পাঁচটি ২০তলা ভবনে ৩৮০টি ফ্ল্যাট। এছাড়া উদ্বোধনের তালিকায় রয়েছে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আটতলার দুটি আবাসিক ভবন। এগুলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

ক্রাইম ডায়রি//জাতীয়