নদী ধ্বংসের এ দৃশ্য শুধু যশোরের নয়; সারাদেশের

ধ্বংসের পথে নদীঃ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে এখনই

নদী ধ্বংসের এ দৃশ্য শুধু যশোরের নয়; সারাদেশের
নদী-নালা, খালবিল নিয়েই আমাদের দেশ। এদেশের জীববৈচিত্র্য ও প্রকৃতির সাথে নদীনালা মিশে আছে ওতোপ্রোতো ভাবে। পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে শান্তিময় ও নিরোগ দেশ ছিল আমাদের এই সোনার বাংলা। যে কারনে ঐতিহাসিকভাবে পুরো পৃথিবীর অসংখ্য পর্যটক ও দার্শনিকরা এদেশে এসে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। জনসংখ্যার হঠাৎ বিষ্ফোরন ও মানুষের অতিমাত্রার লোভের কারনে এসব নদীনালা এখন ধ্বংসের পথে।
আবু সুফিয়ান,যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ
নদী-নালা, খালবিল নিয়েই আমাদের দেশ। এদেশের জীববৈচিত্র্য ও প্রকৃতির সাথে নদীনালা মিশে আছে ওতোপ্রোতো ভাবে। পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে শান্তিময় ও নিরোগ দেশ ছিল আমাদের এই সোনার বাংলা। যে কারনে ঐতিহাসিকভাবে পুরো পৃথিবীর অসংখ্য পর্যটক ও দার্শনিকরা এদেশে এসে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। জনসংখ্যার হঠাৎ বিষ্ফোরন ও মানুষের অতিমাত্রার লোভের কারনে এসব নদীনালা এখন ধ্বংসের পথে। ভুমি দস্যূরা বিভিন্ন সিস্টেমে যেমন দখল করছে খালবিল নদীনালা তেমনি অযত্নে অবহেলার কারনে পয়ঃবর্জ্য ফেলে নদীর পানি দূষিত করে জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মধ্যে ফেলছে একদল মানুষ। যশোরের প্রাণ স্রোতহীন ভৈরব নদে  দু’পাড়ের ভবনের পয়ঃবর্জ্য পড়ছে।  প্লাস্টিক, পলিথিন, আবর্জনা আর কচুরিপানা মিলে মৃত্যুর পথে  নদটি। 
শহরের দড়াটানা অংশে নদের দুই পাড়ের অধিকাংশ ভবনের নিজস্ব স্যুয়ারেজ লাইন (পয়ঃনিষ্কাশন) নেই। তারা সরাসরি নদে সঙ্গে সংযোগ করে দিয়েছে। এতে নদের পানি দূষিত হচ্ছ।  পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, নদের সঙ্গে দুই পাড়ের ভবনের স্যুয়ারেজ লাইন বন্ধে পৌরসভার মেয়রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা নেবেন। তার কথা না শুনলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর মেয়র বলছেন, দ্রুত উচ্ছেদ করা হবে।
জানা যায়, ২০১৬ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড ২৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ বছর মেয়াদী ‘ভৈরব রিভার বেসিন এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প’গ্রহণ করে।
এ প্রকল্পের আওতায় ৯২ কিলোমিটার নদ খনন করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, ইতিমধ্যে নদের উজান ও ভাটির ৭০ কিলোমিটারের বেশি কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ ও টিম ক্রাইম ডায়রির প্রতিনিধি সরেজমিনে গিয়ে  শহরের দড়াটানা ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় ভৈরব নদ খনন কাজ চলমান রয়েছে দেখতে পায়। খনন সম্পন্ন পাড়ের সঙ্গে দুই পাড়ের স্থাপনার সঙ্গে নতুন নতুন পাইপজুড়ে দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ ভবনের স্যুয়ারেজ লাইন সরাসরি নদীর সঙ্গে। ফলে সব মানব বর্জ্য নদীতে এসে পড়ছে। এতে নদের পানির দূষিত হচ্ছে। কাঠেরপুল সংলগ্ন এলাকায় স্যুয়ারেজ লাইনের পাশাপাশি নদে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা।
 যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণী খান সাংবাদিকদের বলেন, নদের সঙ্গে সংযুক্ত দু’পাড়ের ভবনের স্যুয়ারেজ লাইন উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ লক্ষ্যে সকল ভবনের মালিকদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। এদিকে এ দৃশ্য পুরো দেশ জুড়ে বলে জানিয়েছেন প্রকৃতি প্রেমীরা। বিশিষ্ট প্রকৃতি প্রেমিক বগুড়ার ধনকুন্ডী নিবাসী জনাব শাহীন আলম ক্রাইম ডায়রিকে বলেন কি শহর কি গ্রাম সব জায়গাতেই খাল বিল নদী নালাকে ধ্বংসের জন্য মরিয়া একদল ভুমি দস্যু। গার্মেন্টস বর্জ্য কিংবা পয়োঃ সব ধরনের বর্জ্যই সারাদেশে একযোগে বিভিন্ন নদী কিংবা খালে পড়ছে। এতে করে পানির উদ্ভিদ এবং প্রানীর বিচরন কমে গেছে। জীব বৈচিত্র্য ধ্বংসে মুখে। এ অবস্থা হতে উত্তোরনের জন্য খুব দ্রুততার সাথে নদী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট মহলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
ক্রাইম ডায়রি/// জেলা