যাত্রীবেশে ডাকাতিঃ ড্রাইভারও ডাকাতঃ সালেহ ইমরানের তদন্তে ধরা পড়ল ডাকাতদল

The robbers were caught in the investigation of Saleh Imran: Driver also a robber

যাত্রীবেশে ডাকাতিঃ ড্রাইভারও ডাকাতঃ সালেহ ইমরানের তদন্তে ধরা পড়ল ডাকাতদল

ক্রাইম ডায়রি ডেস্কঃ
যাত্রীবেশে ডাকাতি এদেশে  নতুন কিছু  নয়। প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপে দীর্ঘ সময় হলো বন্ধ ছিল এসব অপকর্ম। ইদানীং কালে হঠাৎ শোনা যাচ্ছে বাস ডাকাতির কথা। 

বিগত যে কোন  সময়ের চেয়ে প্রশাসনের ব্যপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। নতুন নতুন বাহিনী তৈরি হয়েছে। আধুনিকতার চরম উৎকর্ষতায় ভরপুর ডিজিটাল প্রশাসন। সুতরাং, পুরনো কাসুন্দি ঘেঁটে সুবিধে করতে পারেনি ডাকাতদল। পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী জেমসবন্ড গ্রুপ পিবিআই এর ০০৭ সালেহ ইমরানের চৌকষ তৎপরতার কারনে ধরা পড়ল এমনই এক ডাকাত বাহিনী। গার্মেন্টসের স্টাফ বাসে যাত্রী বেশে ডাকাতির ঘটনায় ২ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই ঢাকা জেলা পুলিশ। গত বৃহষ্পতিবার ধামরাই এবং ঘিওর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ঘিওর থানার ছোট পয়লা গ্রামের মৃত আঃ মুন্নাফের ছেলে লালন সরদার (২৮) এবং মধুপুর থানার জয়নাতলী গ্রামের  মৃত আঃ রহিমের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৮)। 

 গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে লালন সরদার শুক্রবার আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।  
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৪ জুলাই, ২০২০ইং রাত আনুমানিক  ০২.০০ টায় গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট যাওয়ার জন্য সাভারের হেমায়েতপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে একটি অফিস স্টাফ লেখা বাসে উঠেন মামলার বাদী মাইদুল ইসলাম। বাসে উঠার সাথে সাথে বাস চালক সহ অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জন লোক বাদীর হাত, পা, চোখ বেঁধে বাসের মাঝে শুইয়ে ফেলেন। এরপর এলোপাথারি মারধর এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে তার নিকট থেকে মোবাইল সেট, কাপড় চোপড়, নগদ টাকা এবং বিকাশে থাকা টাকা সহ প্রায় ৫৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন।  এরপর বাদীকে হাত, পা বেধে  রক্তাক্ত জখম অবস্থায় সাভার থানার তুরাগ নদীর পাড় সংলগ্ন রিকু ফিলিং স্টেশন এর বিপরীত পাশে ফেলে রেখে বাস নিয়ে চলে যায়। 
এ ব্যাপারে ভিকটিম মাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে সাভার থানায় অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামী করে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করে। মামলা নং – ৫৬ , তারিখ- ২৫/১০/২০২০ ইং, ধারা- ৩৯৫/৩৯৭ দঃ বিঃ ।      
মামলাটি পিবিআই স্ব উদ্যোগে গ্রহন করে পিবিআই ঢাকা জেলার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সালেহ ইমরানকে তদন্ত ভার প্রদান করেন। 
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সালেহ ইমরান জানান, গত কোরবানীর ঈদের কিছুদিন আগে এই গ্রুপটি গার্মেন্টসের স্টাফ বাস নিয়ে ডাকাতিতে নামে। মুলত গার্মেন্টস ছুটির পর শ্রমিকদের পৌছে দিয়ে মধ্য রাতে তারা এই কাজটি করে। বাসটির চালাতেন লালন সরদার। তার কাছ থেকে বাদীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।  সে আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। 

জেমসবন্ড সালেহ ইমরান ক্রাইম ডায়রিকে বলেন, লালন এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধামরাই থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বাস এবং সহযোগী আলমগীর নামের এক ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

গ্রেফতারকৃত লালন এবং আলমগীর এর জবানবন্দি রেকর্ড সুত্রে জানা গেছে , উক্ত ঘটনায় পলাতক অন্যান্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একাধিক ডাকাতির এবং ছিনতাই এর অভিযোগ আছে। এই ঘটনায় পলাতক ডাকাতদলের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন  তদন্তকারী কর্মকর্তা সালেহ ইমরান।

ক্রাইম ডায়রি ///আইন শৃঙ্খলা