ফেসবুক কেনাকাটাঃ পেইজ খুলে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া দম্পতি চক্র গ্রেফতার

The couple was arrested for opening a shopping page on Facebook and stealing millions of rupees

ফেসবুক কেনাকাটাঃ পেইজ খুলে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া দম্পতি চক্র গ্রেফতার

অনলাইন প্রতারণার নতুন নতুন পদ্ধতি প্রতিনিয়ত আবিস্কার করে চলেছে প্রতারক চক্র। নিত্য নতুন কথা, নিত্য নতুন ফাঁদ। এযেন চকবাজারে বিদেশী মোড়কে নকল কসমেটিক্স কিংবা ঔষধ তৈরির মত অবস্থা।

অনলাইন ডেস্কঃ

অনলাইন প্রতারণার নতুন নতুন পদ্ধতি প্রতিনিয়ত আবিস্কার করে চলেছে প্রতারক চক্র। নিত্য নতুন কথা, নিত্য নতুন ফাঁদ। এযেন চকবাজারে বিদেশী মোড়কে নকল কসমেটিক্স কিংবা ঔষধ তৈরির মত অবস্থা।

অনলাইনে ব্যবসা করে হাজারো বেকারের কর্মসংস্থান হয়েছে। আর এই ভাল কাজে যখন অনলাইন সমাজে সারা পড়েছে তখন অসামাজিক অসাধু লোকজন ফাঁদে ফেলে সর্বশান্ত করছে সাধারন বোকা মানুষদের। সম্প্রতি, সিআইডি এমনই এক প্রতারক দম্পতিকে গ্রেফতার করায় বের হয়ে আসে রহস্যে। সি আইডি  ও গণমাধ্যম সুত্রে জানা গেছে, তারা প্রথমে ফেসবুক পেজ খোলে। তারপন বিভিন্ন বিদেশি প্রসাধনী এনে দেওয়ার নাম করে কিছু মানুষকে পটাতে সক্ষমও হয়। এভাবেই প্রায় ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক দম্পতি। এরমধ্যে একজনের কাছ থেকেই কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে ৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা। অভিযোগের ভিত্তিতে জাল পাতে সিআইডি। অবশেষে এ দম্পতি সিআইডির জালে ধরা পড়েছে বলে জানা গেছে। প্রতারক জেরিন ওরফে জেনিফার তালুকদার ও স্বামী প্রবাল তালুকদার । যেন দুই সদস্যের একটি টিম।  রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান হাউজিং হতে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি সাইবার পুলিশের একটি বিশেষ টিম।  স্বামী-স্ত্রী দুজনই বিভিন্ন ধরনের মাদকের নেশায় আসক্ত ছিলেন বলে সিআইডি জানিয়েছে। তাদের হেফাজত হতে প্রতারণায় ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। 

যেভাবে ঘটায় ঘটনাঃ

সিআইডির সুত্রে জানা গেছে, জেরিন ওরফে জেনিফার তালুকদার তার নিজের পরিচালিত অল এসেনশিয়াল বাই-জেরিন নামক ফেসবুক পেজে বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী বিক্রির উদ্দেশ্যে পোস্ট দিতেন।  মানুষকে অনলাইনে বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের পণ্য এনে দেবেন বলে তার পেজে পোস্ট দেন। জেরিনের পোষ্টে অনেকেই তাকে পণ্যর অর্ডার দেন । কিন্তু তিনি তাদেরকে পণ্য না দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে ঘুরাতে থাকেন। আফসিন নামের একজন গ্রাহক তাকে  তিন লাখ ৭২ হাজার টাকা দিয়েছেন পণ্যের জন্য। তিনি পণ্য না পেয়ে সিআইডির সাইবার পুলিশের নিকট অভিযোগ করেন। পুলিশের নিকট তারা স্বীকার করেছে প্রায় বিশলাখ টাকা এভাবে হাতিয়ে নেয়ার গল্প।

মালামাল না দিয়ে যখন জেরিনের বিভিন্ন অজুহাত এবং কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হয় তখন আফসিন বুঝতে পারেন জেরিন তার সঙ্গে বড় ধরনের প্রতারণা করেছেন। এ ঘটনায় আফসিন সিআইডি সাইবার পুলিশ সেন্টারে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডি সাইবার পুলিশের অনুসন্ধানে প্রতারণার সত্যতা পায়।  অনলাইনে কেনা কাটা করতে তাই সাধারন জনগনকে সতর্ক হয়ে খোজ খবর নিয়ে এরপর কেনাকাটার পরামর্শ দিয়েছেন সিআইডি সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

ক্রাইম ডায়রি/অপরাধজগত