বিনিয়োগকারীদের অর্থের উৎস সর্ম্পকে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন

The Anti-Corruption Commission has sought detailed information on the source of investors' money

বিনিয়োগকারীদের অর্থের উৎস সর্ম্পকে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন

বীমাখাতসহ দেশের বিভিন্ন  প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের অবৈধভাবে উপার্জিত বিনিয়োগ বন্ধ ও অবৈধ বিনিয়োগকৃত অর্থ সাদা করতে মরিয়া অপরাধী চক্র। বিনিয়োগ হালাল করতে বেনামে বিভিন্ন কৌশলে সরকারী বেসরকারী পদস্থ কর্মকর্তা কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে ব্যবহার করার কৌশল অবলম্বন করে এসব অপরাধীরা। ফলে এরা হয়ে যায় কেউকেটা। আবার ধরাছোয়ার বাহিরে থাকে এই চক্রগুলি। কোন না কোন লিংক ধরে এরা রিজেন্ট শাহেদদের মতো করে সরকারের গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিদের ব্যবহার করে। এ ব্যাপারে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে বিশেষ একটি সুত্র জানিয়েছে।

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন:

বীমাখাতসহ দেশের বিভিন্ন  প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের অবৈধভাবে উপার্জিত বিনিয়োগ বন্ধ ও অবৈধ বিনিয়োগকৃত অর্থ সাদা করতে মরিয়া অপরাধী চক্র। বিনিয়োগ হালাল করতে বেনামে বিভিন্ন কৌশলে সরকারী বেসরকারী পদস্থ কর্মকর্তা কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে ব্যবহার করার কৌশল অবলম্বন করে এসব অপরাধীরা। ফলে এরা হয়ে যায় কেউকেটা। আবার ধরাছোয়ার বাহিরে থাকে এই চক্রগুলি। কোন না কোন লিংক ধরে এরা রিজেন্ট শাহেদদের মতো করে সরকারের গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিদের ব্যবহার করে। এ ব্যাপারে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে বিশেষ একটি সুত্র জানিয়েছে।

বিশেষ করে বীমা খাতে। তাই এবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার মতো বিমা পলিসি চালু করতেও জাতীয় পরিচয়পত্র ও কেওয়াইসি ফরম পূরণ বাধ্যতামূলকের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইআরডিএ)। বিমা খাতে কালো টাকার বিনিয়োগ বন্ধে এই উদ্যোগ। বেনামে কিংবা ভিন্ন কাউকেও যদি বিনিয়োগ হয় তবুও বিনিয়োগকারীকে তার অর্থের উৎসের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। দুদক সুত্রে জানা গেছে,  বিমাখাতে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ বিনিয়োগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এসব অর্থের বিনিয়োগ বন্ধে বিনিয়োগকারীদের অর্থের উৎস সর্ম্পকে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

একই সঙ্গে ব্যাংকের মতো আমানতকারীদের বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণের জন্য বিমা কোম্পানিগুলোকে পরামর্শ দিয়েছে কমিশন। এছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজ হিসেবে গ্রাহক পরিচিতির জন্য নো ইউর কাস্টমার (কেওয়াসি) ফরম পূরণ, জাতীয় পরিচয়পত্র, ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) এবং আমানত বা বিনিয়োগের উৎস সর্ম্পকে প্রমাণের দলিলাদি।

সম্প্রতি বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইআরডিএ) কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে বিমাকারীর কাছ থেকে উল্লেখিত তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে বলেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।বিমার মতই অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান মাল্টিপারপাসগুলোর ব্যাপারেও চলছে এমন নজরদারী। বিনিয়োগকারীদের অর্থের উৎস সম্পর্কে খোজ খবর নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ সম্পর্কে  খোজ খবর নেয়া হচ্ছে বলে একটি বিশেষ সুত্রে জানা গেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করেছি যে, অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং খাতের মতো বিমা খাতেও  প্রচুর পরিমাণে অর্থ জমা-বিনিয়োগ করছে। কিন্তু কেওয়াসি ফরম, জাতীয় পরিচয়পত্র, টিআইএন এবং অর্থৈর উৎস সর্ম্পকে কোনো তথ্য নেই। এর ফলে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। 

এর জন্যই দুর্নীতি দমন কমিশন কেওয়াইসি ফরম, জাতীয় পরিচয়পত্র, টিআইএন এবং অর্থের উৎস সর্ম্পকিত নথি সংগ্রহ করার পরামর্শ দিয়েছে। অপরদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন।

তিনি বলেন, সরকার পুরো আর্থিক খাতের জন্য ই-কেওয়াইসি ফরম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। আমি শুনেছি আইডিআরএ এই নথি সংগ্রহের জন্য বিমা খাতের জন্য নীতিমালা তৈরি করছে, বিমাকারীরা অবশ্যই নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা মেনে পলিসি করবে।

উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে ৭৬টি বিমা কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ বীমা করপোরেশন ও জীবন বীমা করপোরেশন নামে দুটি সরকারি বিমা কোম্পানি রয়েছে। তাছাড়া অসংখ্য মাল্টিপারপাস রয়েছে। এর মধ্যে  অনেকেই সেগুলি ভিন্ন কৌশলে নতুন মোড়ক তৈরির চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।অভিযোগের ভিত্তিতে সময়মতো এগুলোর  ব্যাপারে একশন নেয়া হবে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।

(ধারাবাহিক)

নোটঃ সকল প্রকার অনিয়ম ও অপরাধের খবর জানাতে এবং জানতে ক্রাইম ডায়রির সাথেই থাকুন। ভিজিট করুন আমাদের সকল নিউজ সাইটে। পত্রিকার জন্য হকারকে বলুন।।

ক্রাইম ডায়রি//ক্রাইম