ঝুঁকিপূর্ন শরীয়তপুর হাসপাতালঃ ছাদ খসে পড়ার অভিযোগ

Risk of falling roof of Shariatpur Hospital

ঝুঁকিপূর্ন শরীয়তপুর হাসপাতালঃ  ছাদ খসে পড়ার অভিযোগ

পুরনো বদলে নতুন দাও। এমন দাবীতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে শরীয়তপুরের সুশীল সমাজ। সম্প্রতি শরীয়তপুরের  ১০০ শয্যা হাসপাতালের নিচতলার রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের ছাদ আবারও ভেঙে পড়ায় এমন দাবী উঠেছে বলে জানা গেছে। 

শরীয়তপুর সংবাদদাতাঃ

পুরনো বদলে নতুন দাও। এমন দাবীতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে শরীয়তপুরের সুশীল সমাজ। সম্প্রতি শরীয়তপুরের  ১০০ শয্যা হাসপাতালের নিচতলার রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের ছাদ আবারও ভেঙে পড়ায় এমন দাবী উঠেছে বলে জানা গেছে। 

হাসপাতাল, রোগী ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,  ছাদের একটি অংশ খসে পড়েছে। এতে রডসহ ফ্যান ঝুলে পড়েছে। দেখা গেছে, কক্ষটির অধিকাংশ পলেস্তারাসহ খোয়া-সিমেন্ট ভেঙে পড়েছে। কিছু অংশ ঝুলে আছে। সেখানেই সেবা পাওয়ার জন্য রোগীদের অপেক্ষা করতেও দেখা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পহেলা বৈশাখের দিন সকাল বেলা।  বিষয়ে বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সকালে কক্ষের তালা খুলে দেখি ছাদের পলেস্তারাসহ একটি বড় অংশ খসে পড়ে আছে। এক্স-রে মেশিনের ওপর বড় অংশ পড়েছে। বিকল্প না থাকায় তার পরও এ কক্ষটিই ব্যবহার করতে হবে।’ এর আগে গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুনীর আহমদ খানের কক্ষের ছাদের পলেস্তারা ভেঙে পড়েছিল। এখনো ওই কক্ষটির সংস্কারকাজ শেষ না করায় তা ব্যবহার করতে পারছেন না তত্ত্বাবধায়ক। টিম ক্রাইম ডায়রি  হাসপাতালে গিয়ে সরেজমিনে দেখেছে বিষয়টি। সেখানে দেখা যায়, রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগটি নিচতলার দুটি কক্ষে অবস্থিত। একটি কক্ষের ছাদের অধিকাংশ অংশের পলেস্তারা ধসে পড়েছে। আর কিছু অংশ ঝুলে আছে। ওই কক্ষের মধ্যেই সেবা পাওয়ার জন্য রোগীদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুনীর আহমদ খান স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ‘১৯৮৫ সালে হাসপাতালের একটি অংশ এক তলা ও একটি অংশ দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০০৮ সালে অতিরিক্ত ১৬টি পিলার স্থাপন করে হাসপাতালটি তৃতীয় তলা পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। বর্তমানে হাসপাতাল ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। গত পাঁচ বছরে পাঁচ দফা বিভিন্ন ফ্লোরের ছাদের পলেস্তারা ভেঙে পড়েছে। ২০১৮ সালে নিচতলার করিডোরে ছাদের পলেস্তারা ভেঙে পড়ে তিন ব্যক্তি আহত হন। শনিবার আবার রেডিওলজি বিভাগের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। গত বছর আমার কক্ষের পলেস্তারাও খসে পড়েছিল। তখন অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছি।

সদর হাসপাতালের ফার্মেসি বিভাগের ফার্মাসিস্ট নাসির উদ্দিন বলেন, ‘হাসপাতাল ভবনের বিভিন্ন স্থানের ছাদের পলেস্তারা ভেঙে পড়ছে। অনেক স্থানে পলেস্তারায় ফাটল রয়েছে। অনেক কক্ষ দিয়ে পানি পড়ে। কয়েক দফা পলেস্তারা ভেঙে বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা আতঙ্ক নিয়ে অফিস করছি। আমার ফার্মেসি বিভাগের কক্ষের ছাদ ও বিমে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে।’ আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুমন কুমার পোদ্দার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘হাসপাতাল ভবনের নিচতলায় বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ, তত্ত্বাবধায়ক, আরএমওর কক্ষ, এক্স-রে রুম, ল্যাবরেটরি ছারাও বিভিন্ন প্রশাসনিক কক্ষ রয়েছে। ছয়টি কক্ষ এ মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ। শনিবার পুনরায় ছাদের অংশ ধসে পড়ায় আমরা আতঙ্কে আছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ ভবনে কাজ করা সম্ভব নয়।’ শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, ‘সদর হাসপাতাল ভবনটি পুরনো তাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার করা হবে। সেজন্য নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। শরীয়তপুরের সুশিল সমাজ ও স্থানীয় জনতা দ্রুততার সাথে হাসপাতালটি স্থানান্তর করার জন্য জোর দাবী জানান। 

ক্রাইম ডায়রি// স্বাস্থ্য জেলা