সিরাজগঞ্জে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একদল ডাকাত গ্রেফতার করল রায়গঞ্জ থানা পুলিশ

অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলামের সুদক্ষ নেতৃত্বে থানা এলাকায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। ফলে চুরি ডাকাতি কিংবা মাদক সন্ত্রাস এখন শুন্যের কোঁঠায়।

সিরাজগঞ্জে  জীবনের ঝুঁকি নিয়ে  একদল ডাকাত গ্রেফতার করল রায়গঞ্জ থানা পুলিশ

রায়গঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ  শহিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)কমল কুমার দেবনাথ   ও এসআই সমর চন্দ্র আচার্য  ফোর্সসহ  সেখানে গিয়ে ডাকাতদলকে ঘিরে ফেলে । ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রায়গঞ্জ থানার সুদক্ষ অফিসার ইনচার্জ  তার সঙ্গীয় ফোর্সদের নিয়ে ডাকাতদলকে পাকরাও  করে ও আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। যদিও এসময় আরো কয়েকজন ডাকাতদলের সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

স.ম আব্দুস সাত্তার, রায়গঞ্জ হতেঃ

সবচেয়ে শান্ত শহর সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানা। ছায়া সুনিবির শান্তির নীর যেন! খুবই কম অপরাধ প্রবণ এলাকা রায়গঞ্জ থানা   এলাকা। এই থানার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের দাথিয়া বেনীমাধব গ্রাম এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়ার সময় কঠোর গোয়েন্দা নজরদারীর কারনে একদল ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে রায়গঞ্জ থানা পুলিশ। চারিদিকে অস্থিতিশীল পরিবেশ ও লকডাউনকে পুঁজি করে মফস্বল এলাকায় ডাকাতি করার জন্য এরা প্রস্তুতি নিচ্ছিল। রায়গঞ্জ থানা সুত্রে জানা গেছে, মে ৯, ২০২১ইং তারিখ রাত ২;৩০ মিনিটের দিকে চান্দাইকোনার দাথিয়া বেনিমাধব গ্রামের বাসিন্দা মানিক শেখের বাড়ির উত্তরপাশ্বে একদল ডাকাত এলাকার ষোলমাইল নামক জায়গা হতে ধামাইনগর ইউনিয়নগামী সি এন্ডবি রাস্তার উপর ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

এসময় রায়গঞ্জ থানা পুলিশের গোয়েন্দা দলের কঠোর নজরদারীতে তারা ধরা পড়ে যায়। এসময় রায়গঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ  শহিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)কমল কুমার দেবনাথ   ও এসআই সমর চন্দ্র আচার্য  ফোর্সসহ  সেখানে গিয়ে ডাকাতদলকে ঘিরে ফেলে । ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রায়গঞ্জ থানার সুদক্ষ অফিসার ইনচার্জ  তার সঙ্গীয় ফোর্সদের নিয়ে ডাকাতদলকে পাকরাও  করে ও আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। যদিও এসময় আরো কয়েকজন ডাকাতদলের সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

সন্দেহ করা হচ্ছে এরা   সর্বহারা পার্টির সদস্য হতে পারে। উল্লেখ্য  ইদানিং কালে সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় সর্বহারা পার্টির সদস্যরা একত্রিত হয়ে ডাকাতি করার চেষ্টা করলেও পুলিশের বিশেষ নজরদারী ও তৎপরতার কারনে তারা সফল হয়নি।

রায়গঞ্জ থানা পুলিশের হাতে আটক ডাকাতদের পরিচয় পাওয়া গেছে।  এরা হলেন:  ১. সিরাজগঞ্জ জেলার আলমপুর গ্রামের মৃত বাহাদুর খাঁর ছেলে ছানোয়ার হোসেন ছানু, (বয়স ৫৫), ২. একই জেলার উল্লাপাড়া থানার রাঘববাড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে লিটন মিয়া, (বয়স ৩৫); ৩. নীলফামারী জেলার ডোমার থানার মঠকপুর মাষ্টারপাড়া গ্রামের মৃত দুলাল খানের ছেলে  লিটন ড্রাইভার (বয়স ২৭) ৪.নীলফামারী জেলার ডোমার থানার প্রশিকাপাড়া গ্রামের মৃত দুলাল খানের ছেলে রফিক (বয়স ৩৪)। এদের মধ্যে রফিক ও লিটন ঢাকার আশুলিয়ার পল্লিবিদ্যুৎ ও নরসিংহপুর বুড়িপাড়া এলাকায় যথাক্রমে আলমগীর ও মারফত আলীর বাসার ভাড়াটিয়া। 

এসময় পুলিশ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ডভ্যান ঢাকা মেট্রো ন-১৯-০৪০০ সহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রপাতি আটক করে। আটককৃতরা ছাড়াও  পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ৭/৮ জন ডাকাত পালিয়ে যায় । পলাতকদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে বলে জানিয়েছে রায়গঞ্জ থানা পুলিশ।

ক্রাইম ডায়রি//আইন শৃঙ্খলা