গোল্ডেন মনিরের অবৈধ সম্পদ ও বিনিয়োগঃ সন্ধানে নেমেছে সিআইডি

Illegal assets and investments of Golden Monir: CID has started searching

গোল্ডেন মনিরের অবৈধ সম্পদ ও বিনিয়োগঃ  সন্ধানে নেমেছে সিআইডি

কালিমুল্লাহ দেওয়ান রাজাঃ

মনে আছে গোল্ডেন মনিরের কথা। অবশেষে সিআইডি খোঁজ শুরু করেছে গোল্ডেন মনিরের অবৈধ সম্পদের ও বিদেশে পাচার করা অর্থের  । এজন্য তার নিজের ও পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

স্বর্ণ চোরাচালানে অর্জিত অর্থ তিনি বিভিন্ন ব্যবসায় ও কোম্পানীতে  বিনিয়োগ করে অবৈধ সম্পদ অন্য খাতে রূপান্তর করেছেন। এ ছাড়া আর কী করেছেন-সে বিষয়েও সন্ধান চলছে। তার অপরাধগুলো মানি লন্ডারিং আইনে অনুসন্ধানের সুযোগ আছে।  সিআইডির সংশ্লিষ্ট ইউনিট এ বিষয়ে প্রমাণ সংগ্রহ করছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পেলেই তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হবে। এদিকে বৃহস্পতিবার মনির হোসেন ও তার স্ত্রী রওশন আক্তারের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বর্নচোরাচালান করে এমন হাজারো গোল্ডেন মনির তৈরি হয়েছে এদেশে।  অনেকেই বলছেন, স্বর্ন চোরাচালান করতে হলে অবশ্যই  ‍শুল্ক গোয়েন্দাদের সহযোগীতা প্রয়োজন হয়। কারন গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে এটা করা দুরুহ ব্যাপার। স্বর্ন চোরাচালান করতে হলে অবশ্যই  ‍শুল্ক গোয়েন্দাদের সহযোগীতা প্রয়োজন হয়। এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। শুল্কগোয়েন্দারা স্বেচ্ছায় কেউ চাকরী ছাড়ছে কিনা কিংবা সাসপেন্ড থাকলে কি কারন তাও খতিয়ে দেখতে পারলে দেখা যাবে কোন না কোন লিংক পাওয়া যাবে। যে সুত্র ধরে কেঁচো খুড়তে সাপ বের করার মতো অবস্থা হবে। সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে এমন আনকমন কিছু শুল্কগোয়েন্দার খোঁজ পাওয়া যায় যারা সোনা চোরাচালানকারীদের সহযোগীতা করে অসংখ্য গোল্ডেন মনিরের সৃষ্টি করেছে। আবার তারাই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পগারপার হবার চেষ্টায় চাকরী পর্যন্ত ছেড়েছে। তাই কোন একটি সম্ভবনাকে যেন উড়িয়ে না দেয়া হয় সে বিষয়ে তদন্তকারী প্রশাসনের প্রতি বিশেষজ্ঞরা দৃষ্টি দেবার আহবান জানিয়েছেন।

গোল্ডেন মনিরের অর্থ পাচারের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে এরইমধ্যে সিআইডিকে চিঠি দিয়েছে র‌্যাব। নভেম্বর ২৮,২০২০ইং বুধবার র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন।

গোল্ডেন মনির নামে-বেনামে কিংবা স্ত্রী কিংবা তাদের আত্নীয়দের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক। তবে কী পরিমাণ সম্পদ তিনি রূপান্তর করেছেন, তা অনুসন্ধান শেষে বলা যাবে। তার ২৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। তার বাসা থেকে ১০টি দেশের মুদ্রা পাওয়া গেছে। এগুলো তিনি কেন এবং কী উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করেছেন-এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ তিনি ভূমি খাতে ও বিভিন্ন সুপারশপ ও হাউজিং কোম্পানীতে বিনিয়োগ করেছেন। গোল্ডেন মনিরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এসব অ্যাকাউন্টে কী ধরনের লেনদেন হয়েছে এবং কারা লেনদেন করেছেন-এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। শুধু গোল্ডেন মনির নন, তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেনের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে বলে সিআইডির একজন কর্মকর্তা সুত্রে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাজধানীর মেরুল বাড্ডার বাসা থেকে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। রোববার তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা হয়। বর্তমানে তিনি রিমান্ডে আছেন। তাকে গ্রেফতারের পর সরকারের একাধিক সংস্থা তার অপকর্মের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

সম্পদের বিবরণী চেয়ে দুদক হতে  নোটিশ দেয়া হয়েছে। দুদক সুত্রে জানা গেছে,  মনির হোসেন ও তার স্ত্রী রওশন আক্তারের নামে থাকা সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদক থেকে নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। এতে মনির ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে-বেনামে অর্জিত স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দাখিল করতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুদক পরিচালক আকতার হোসেন আজাদের স্বাক্ষরিত এক নোটিশ ইস্যু করা হয়। নোটিশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে হবে। মনিরকে ২০০৯ সালের ১৮ জুনের পর থেকে অর্জিত সম্পদের তথ্য দিতে হবে এবং তার স্ত্রী রওশন আক্তারকে ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবরের পর থেকে অর্জিত সম্পদের বিবরণী দিতে হবে।

অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ তিনি ভূমি খাতে ও বিভিন্ন সুপারশপ ও হাউজিং কোম্পানীতে বিনিয়োগ করেছেন। গোল্ডেন মনিরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এসব অ্যাকাউন্টে কী ধরনের লেনদেন হয়েছে এবং কারা লেনদেন করেছেন-এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। শুধু গোল্ডেন মনির নন, তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেনের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে বলে সিআইডির একজন কর্মকর্তা সুত্রে জানা গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বর্নচোরাচালান করে এমন হাজারো গোল্ডেন মনির তৈরি হয়েছে এদেশে। অনেকেই বলছেন, স্বর্ন চোরাচালান করতে হলে অবশ্যই  ‍শুল্ক গোয়েন্দাদের সহযোগীতা প্রয়োজন হয়। কারন গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে এটা করা দুরুহ ব্যাপার।  এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। শুল্কগোয়েন্দারা স্বেচ্ছায় কেউ চাকরী ছাড়ছে কিনা কিংবা সাসপেন্ড থাকলে কি কারন তাও খতিয়ে দেখতে পারলে দেখা যাবে কোন না কোন লিংক পাওয়া যাবে। যে সুত্র ধরে কেঁচো খুড়তে সাপ বের করার মতো অবস্থা হবে। সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে এমন আন কমন কিছু শুল্কগোয়েন্দার খোঁজ পাওয়া যায় যারা সোনা চোরাচালানকারীদের সহযোগীতা করে অসংখ্য গোল্ডেন মনিরের সৃষ্টি করেছে। আবার তারাই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পগারপার হবার চেষ্টায় চাকরী পর্যন্ত ছেড়েছে। তাই কোন একটি সম্ভবনাকে যেন উড়িয়ে না দেয়া হয় সে বিষয়ে তদন্তকারী প্রশাসনের প্রতি বিশেষজ্ঞরা দৃষ্টি দেবার আহবান জানিয়েছেন।

ক্রাইম ডায়রি//ক্রাইম