রাজধানীর হাজারীবাগে স্ত্রীকে খুন করে থানায় স্বামীর আত্নসমর্পন

Husband kills wife in Hazaribagh:Husband surrenders at police station

রাজধানীর হাজারীবাগে স্ত্রীকে খুন করে থানায় স্বামীর আত্নসমর্পন

হাজারীবাগ,রাজধানী সংবাদদাতাঃ

সামাজিক অবক্ষয় এখন  এমন পর্যায়ে দাড়িয়েছে যে মানুষের ভিতরের মনুষ্যত্ব হারিয়ে গেছে। মমত্ববোধ কিংবা মায়া আর মানুষের মনে খুব একটা কাজ করেনা। যার ফলশ্রুতিতে খুবই কাছের মানুষদেরও হত্যা করতে মানুষ আর দ্বিধাবোধ করেনা। সম্প্রতি, রাজধানীর হাজারীবাগে স্ত্রী হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন ইউসুফ রানা নামের এক ব্যক্তি। পারিবারিক কলহের জেরে বুধবার রাতে লোহার বস্তু দিয়ে আঘাত করে রোকসানা আক্তার ময়নাকে (২৮) হত্যা করেন। এই ঘটনা সামাজিক অবক্ষয়ের করুন অবস্থা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। থানা সুত্রে জানা গেছে,  রায়েরবাজার হাইস্কুলের পেছনে এ ঘটনা ঘটে। ময়নাতদন্তের জন্য ময়নার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার নিহতের ভাই ফরহাদ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। নিহত ময়নার বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বারইনগর গ্রামে। এক ছেলে, এক মেয়ে নিয়ে স্বামী ইউসুফ রানার সঙ্গে পূর্ব রায়েরবাজার হাইস্কুলের পেছনে আনোয়ার খানের বাড়িতে থাকতেন। ময়না গৃহিণী ছিলেন। ইউসুফ ফুসকা বিক্রি করেন।

সামাজিক অবক্ষয় এখন  এমন পর্যায়ে দাড়িয়েছে যে মানুষের ভিতরের মনুষ্যত্ব হারিয়ে গেছে। মমত্ববোধ কিংবা মায়া আর মানুষের মনে খুব একটা কাজ করেনা। যার ফলশ্রুতিতে খুবই কাছের মানুষদেরও হত্যা করতে মানুষ আর দ্বিধাবোধ করেনা। সম্প্রতি, রাজধানীর হাজারীবাগে স্ত্রী হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন ইউসুফ রানা নামের এক ব্যক্তি। পারিবারিক কলহের জেরে বুধবার রাতে লোহার বস্তু দিয়ে আঘাত করে রোকসানা আক্তার ময়নাকে (২৮) হত্যা করেন। এই ঘটনা সামাজিক অবক্ষয়ের করুন অবস্থা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। বুধবার সন্ধ্যায় লোহার বস্তু দিয়ে সরাসরি ময়নার মাথায় আঘাত করেন ইউসুফ। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মৃতদেহ বাসায় রেখে দরজায় তালা লাগিয়ে ছোট ছোট দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে যান ইউসুফ।

হাজরীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাজেদুর রহমান  ক্রাইম ডায়রিকে জানান, আকষ্মিক ঘটে যাওয়া এই ঘটনার পরই ইউসুফ রানা তার দুই সন্তানকে নিয়ে তার মায়ের বাসায় যান। আমরা প্রথমে রানার ভাইকে আটক করি। পরে বৃহস্পতিবার ভোরে এক বছর বয়সী সন্তানকে কোলে নিয়ে থানার দিকেই আসছিল  রানা। এসময় আমরা তাকে গ্রেফতার করলে  রানা পুলিশকে জানায়, সে আত্মসমর্পণের জন্যই থানায় আসছিল।

ক্রাইম ডায়রি//রাজধানী//ক্রাইম