দুদকের মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের আট বছরের কারাদন্ড

এমন ঘটনা হতে শিক্ষা নিতে হবে। এনবিআরে তথ্য গোপন আপাতঃ দৃষ্টিতে স্বাভাবিক মনে হলেও প্যাঁচে পড়ে গেলে সাত কোটি না সাত লাখও অপরাধ হিসেবে গন্য হয়ে লঘুপাপে গুরুদন্ড হতে পারে।

দুদকের মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী লুৎফুজ্জামান  বাবরের আট বছরের কারাদন্ড

তার হিসাব শুনে মনে হলে আমরা অনেকেই বহুমুখী পেশা ও ব্যবসায় জড়িত। সুতরাং আমাদের কাছেও টাকা থাকাই স্বাভাবিক।  তবে অস্বাভাবিকতা কোথায়?? বিষয় হলো এনবিআরে তথ্য গোপন। কিছু দালাল আছে যারা করদাতাদের ফাঁকি দিতে উৎসাহ দেয়ায় এমন বিপত্তি ঘটে অনেকের ক্ষেত্রেই।" যাহোক গল্প বলার উদ্দেশ্য হলো শিক্ষা নেয়া। আমরা সবাই তথ্য গোপন করবো না এটাই হোক প্রত্যয়

ক্রাইম ডায়রি ডেস্কঃ

অহংকার করবেন না। কেননা, অহংকার এর মালিক আল্লাহ। আপনি অহংকার করেন কিসের বড়াইয়ে। ইতিহাস এবং বাস্তবতা হতে শিক্ষা নিন অহংকার দূরীভুত হয়ে যাবে। সাবেক  দীর্ঘ সময়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের কথা  মনে আছে নিশ্চয়ই। 

Former Home Minister Lutfuzzaman Babar has been sentenced to eight years in prison in an ACC case

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে আট বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অক্টোবর ১২,২০২১ইং মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৭-এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

টাকার অংকে হিসাব করলে একজন সাবেক মন্ত্রীর জন্য এই টাকা সামান্যই।  

["একটা গল্প বলি।।  একজন রিক্সা ওয়ালার মুখ হতে শোনা। কি একটা কথার সুত্র ধরে তিনি আমাকে তার আয়ের হিসাব দিলেন। তার মুখ হতেই শুনুন," আমি প্রতিদিন রিক্সা চালিয়ে আয় করি তিনহাজার হতে চার হাজার পর্যন্ত। আমার ব্যায়‌‌; জমা তিনশ,খাওয়া দেড়শ,থাকা ফ্রী। তিন হাজার ধরে হিসাব করলে  জমে গড়ে ২৫০০ টাকা। মাসে জমে ৭৫০০০/. বছরে ২২,৫০,০০০/. দশ বছরে পরিমান হবে ২,২৫,০০,০০০/.

বাড়ির কোন খরচ নেই। ছোট্ট একটি পুকুর আছে,সামান্য ধান পাই,ঘরের ধানে ভাত খায়। কচু ঘেচু তুলে বউ চালিয়ে নেয়। ছেলের একটা চায়ের দোকান আছে ষ্টেশনে। প্রতিদিন শুধু চা বিক্রি গড়ে ৫০০ কাপ। প্রতি কাপে লাভ ৩ টাকা। দিন শুধু চা হতেই লাভ ১৫০০/ মাসে ৪৫০০০/ বছরে ৫,৪০,০০০/ দশ বছরে ৫,৪০,০০,০০০/. দশ বছর পরে বাপ বেটার পুঁজি সাত কোটি পয়ষট্টি লাখ টাকা।

আমার জমি এখন বিশ বিঘা। ঢাকায় জায়গা কিনে বাড়ি করেছি। বাপবেটার কারো শিক্ষা নেই তাই পেশা পরিবর্তন হয়নি। তাছাড়া যে ইনকাম, পরিবর্তনই বা  কেন করব??? তবে  জুয়া খেলার অভ্যাস আছে তাই জমাতে পারিনি।।"

তার হিসাব শুনে মনে হলে আমরা অনেকেই বহুমুখী পেশা ও ব্যবসায় জড়িত। সুতরাং আমাদের কাছেও টাকা থাকাই স্বাভাবিক।  তবে অস্বাভাবিকতা কোথায়?? বিষয় হলো এনবিআরে তথ্য গোপন। কিছু দালাল আছে যারা করদাতাদের ফাঁকি দিতে উৎসাহ দেয়ায় এমন বিপত্তি ঘটে অনেকের ক্ষেত্রেই।" যাহোক গল্প বলার উদ্দেশ্য হলো শিক্ষা নেয়া। আমরা সবাই তথ্য গোপন করবো না এটাই হোক প্রত্যয়।"]

গত অক্টোবর ৪,২০২১ইং রাষ্ট্রপক্ষ (দুদক) ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করেন। আসামি লুৎফুজ্জামান বাবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুদক এ মামলা করে। ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। একই বছরের ১২ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। সুতরাং, অহংকার নয় বরং তথ্যগোপন না করে সততার সাথে পথ চলায় কাম্য।

ক্রাইম ডায়রি// ক্রাইম