পরকীয়া প্রেমিক দিয়ে স্বামীকে হত্যা,তদন্তে সত্যতা প্রমান পেয়েছে সিআইডিঃ স্ত্রী জেলে, দুইখুনীকে ধরতে অভিযান অব্যহত সিআইডির

CID probe into husband's murder with extramarital affair: CID probe into wife's imprisonment

পরকীয়া প্রেমিক দিয়ে স্বামীকে হত্যা,তদন্তে সত্যতা প্রমান পেয়েছে সিআইডিঃ স্ত্রী জেলে, দুইখুনীকে ধরতে অভিযান অব্যহত সিআইডির

পরকীয়া প্রেমের ব্যাধি খুবই খারাপ একটা ব্যাধি। পৃথিবীর অনেক আদিকাল হতেই এই ব্যাধিতে আক্রান্ত মানবসমাজ। নতুনত্বের সন্ধানে মানুষ সবসময়ই মরিয়া। তাই মানসিক চাপ, অনাদর , অবহেলা কিংবা অপরাগতা, নোংরা থাকা হতে মানুষ বিকল্প জীবনের সন্ধান করে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা গৃহের অশান্ত পরিবেশ পরকীয়ায় বাধ্য করে মানুষকে। আর  এই পরকীয়ার বলি হয় পরিবারের কোন জীবন কিংবা অবোধ শিশুরা। সম্প্রতি বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলায় এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে পরকীয়া প্রেমিকের মাধ্যমে স্বামী স্কুলশিক্ষক শহিদুল ইসলামকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

ধুনট সংবাদদাতাঃ

পরকীয়া প্রেমের ব্যাধি খুবই খারাপ একটা ব্যাধি। পৃথিবীর অনেক আদিকাল হতেই এই ব্যাধিতে আক্রান্ত মানবসমাজ। নতুনত্বের সন্ধানে মানুষ সবসময়ই মরিয়া। তাই মানসিক চাপ, অনাদর , অবহেলা কিংবা অপরাগতা, নোংরা থাকা হতে মানুষ বিকল্প জীবনের সন্ধান করে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা গৃহের অশান্ত পরিবেশ পরকীয়ায় বাধ্য করে মানুষকে। আর  এই পরকীয়ার বলি হয় পরিবারের কোন জীবন কিংবা অবোধ শিশুরা। সম্প্রতি বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলায় এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে পরকীয়া প্রেমিকের মাধ্যমে স্বামী স্কুলশিক্ষক শহিদুল ইসলামকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে ফেব্রুয়ারী ২০২১ইং  বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে শিক্ষিকা স্ত্রী সীমা আকতারকে (৩০) জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী টিএম আবদুল মতিন ক্রাইম ডায়রিকে বলেছেন, এই হত্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সীমা আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। পরকীয়া প্রেমিকসহ অপর দুই আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। গ্রামবাসী তাদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

এজাহার সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, সীমা আকতার ধুনট উপজেলার চালাপাড়া গ্রামের মৃত শাহজাহান তালুকদারের মেয়ে ও চালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। গত ২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের মৃত আজমল হোসেন খানের ছেলে পিরহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলামের সাথে তার (সীমা) বিয়ে হয়।

তবে বিয়ের আগে থেকেই মথুরাপুর ইউনিয়নের গোপালপুর খাদুলী গ্রামের মৃত রহমত উল্লাহর ছেলে খোরশেদ আলম বাবলুর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরও সীমা প্রেমিক খোরশেদ আলম বাবলুর সঙ্গে পরকীয়া অব্যাহত রাখেন।

প্রেমিক বাবলু এক পর্যায়ে সীমাকে বিয়ের চাপ দেন। সীমা রাজি হন এবং স্বামী শহিদুল ইসলামকে হত্যা করতে প্রেমিক বাবলুর সঙ্গে পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক পরকিয়া প্রেমিক খোরশেদ আলম বাবলু ও তার সহযোগী মথুরাপুর ইউনিয়নের প্রতাব খাদুলী গ্রামের  বন্দুকযুদ্ধে নিহত সর্বহারা নেতা শফিউর রহমান জ্যোতির ছেলে রুবেল আহমেদ ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি রাতে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে গলা কেটে শিক্ষক শহিদুলকে হত্যা করে। এ সময় সীমা তার স্বামীকে হত্যায় সহযোগিতা করেন।

পরদিন নিহতের ছোটভাই সাজেদুল ইসলাম সাজু ধুনট থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ওই দিনই সীমা আকতারকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে জামিনে ছাড়া পান। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সি আই ডি সুত্রে জানা গেছে, সফলভাবে  দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডি বগুড়া ক্যাম্পের বিশেষ পুলিশ সুপার কাউসার সিকদার ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর আদালতে স্ত্রী সীমা আকতার, প্রেমিক খোরশেদ আলম বাবলু ও তার সহযোগী রুবেল আহমেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। বৃহস্পতিবার সীমা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপর আসামি বাবলু ও রুবেলকে পুলিশ আজও  গ্রেফতার করতে পারেনি। সিআইডি বগুড়া ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার হাসান শামীম ইকবাল টিম ক্রাইম ডায়রিকে জানান, পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আশা করি তাদের গ্রেফতার করতে সিআইডি সক্ষম হবে। এদিকে পরকীয়া প্রেমের বলি শিক্ষকের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে এলাকাবাসী উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ক্রাইম ডায়রি/আদালত