কৃষকলীগের নেতাসহ ৮ জনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাঃ অন্যায় করলে কোন ছাড় নেই

Arrest warrants in the name of 6 people including the leader of Krishka League: There is no exemption for doing wrong

কৃষকলীগের নেতাসহ ৮ জনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাঃ অন্যায় করলে কোন ছাড়  নেই

এরপর এসব কাগজপত্র দিয়ে ২০১৯ সালের ১৩ মে ঢাকার ম্যাক্স নাহার ইন্টারন্যাশনালের মালিক মাহমুদুর রহমান চৌধুরীর নামে নয় একর জমির আমমোক্তা ও বন্ধকী দলিল করেন ভালুকা সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম। এই দলিল দুইটির সনাক্তকারী ছিলেন দলিল লেখক সমিতির সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম। পরবর্তীতে বিষয়টি কিছুদিন পর এক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে জানতে পারেন জমির প্রকৃত মালিক হাফিজুল ইসলাম। এরপর তিনি একই বছরের ১৫ অক্টোবর ১২ জনকে আসামি করে জাল-জালিয়াতিসহ আরও কয়েকটি ধারায় মামলা করেন হাফিজুল ইসলাম। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

ময়মনসিংহ সংবাদদাতাঃ

এটা বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। যার আদর্শই অন্যায়ের কাছে মাথা নত নয়। আবার অন্যায় করলে কোন ছাড় ও নয়। সেক্ষেত্রে কোন দল-মত নয়। এরই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহের ভালুকায় কৃষকলীগের যুগ্ন সম্পাদকসহ আট জনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।জানুয়ারী ৬,২০২১ইং বুধবার ঐ ব্যক্তিদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ময়মনসিংহের আদালত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেনঃ- ভালুকা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের দলিল লেখক সমিতির সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম, ভালুকা উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্নসম্পাদক জাকির হোসেন জুয়েল, রফিকুল ইসলাম হীরা, সাইদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল করিম, মো. মোস্তফা এবং ভালুকা উপজেলার কাচিনা ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্য হাজেরা খাতুন। তাদের বাড়ি ভালুকা উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নে। মামলার বাদী ও কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, ভালুকা উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের কাদিগড় মৌজার ৯ একর জমির পৈত্রিক সূত্রে মালিক হন আতাউর রহমান, শামসুল হক, মোতাহার হোসেন ও সমর আলী। আতাউর এবং শামসুল ২০০৪ সালে মারা যান। মৃত ওই দুই জনসহ চার জনের নামে ভুয়া ওয়ারিশান সনদ ও আইডি কার্ড তৈরি করেন উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ন সম্পাদক জাকির হোসেন জুয়েল ও সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্য হাজেরা খাতুনসহ আরও কয়েকজনসহ তারা নয় একর জমি স্থানীয় নায়েবের মাধ্যমে কৌশলে ২১৬৮ ও ২১৬৯ নম্বরের দুইটি নামজারি করেন। এরপর এসব কাগজপত্র দিয়ে ২০১৯ সালের ১৩ মে ঢাকার ম্যাক্স নাহার ইন্টারন্যাশনালের মালিক মাহমুদুর রহমান চৌধুরীর নামে নয় একর জমির আমমোক্তা ও বন্ধকী দলিল করেন ভালুকা সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম।

এই দলিল দুইটির সনাক্তকারী ছিলেন দলিল লেখক সমিতির সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম। পরবর্তীতে বিষয়টি কিছুদিন পর এক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে জানতে পারেন জমির প্রকৃত মালিক হাফিজুল ইসলাম। এরপর তিনি একই বছরের ১৫ অক্টোবর ১২ জনকে আসামি করে জাল-জালিয়াতিসহ আরও কয়েকটি ধারায় মামলা করেন হাফিজুল ইসলাম। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। পিবিআই তদন্তের পর ১২ জনের মধ্যে দশ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ ব্যাপারে বাদী পক্ষের আইনজীবী কবির হোসেন মন্ডল মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান , পিবিআই তদন্তের প্রতিবেদনে দশ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের পর বিজ্ঞ সিনিয়র ৮ নম্বর আমলী আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ইমাম হাসান আট জনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

নোটঃ সকল প্রকার অনিয়ম ও অপরাধের খবর জানাতে এবং জানতে ক্রাইম ডায়রির সাথেই থাকুন। ভিজিট করুন আমাদের সকল নিউজ সাইটে। পত্রিকার জন্য হকারকে বলুন।।

ক্রাইম ডায়রি// আদালত