চাকরী দেবার নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগঃ রাজধানীতে গ্রেফতার ২

শয়তান যেহেতু আছে সুতরাং প্রতারণা থাকবেই। কিন্তু সতর্ক থাকাও তো মানুষের দায়িত্ব। সুতরাং সেই দায়িত্ব কেউ এড়াতে চেষ্টা করলে পুণরায় তার প্রতারিত হবার সম্ভবণা থাকে।

চাকরী দেবার নামে কোটি টাকা  হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগঃ রাজধানীতে গ্রেফতার ২

আটককৃত প্রতারকরা বিভিন্ন ভুয়া কোম্পানি খুলে প্রতারণা করে আসছিল। ৩৯ হাজার টাকা বেতনে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে সাড়ে ৬ লাখ করে টাকা নিতেন তারা। এভাবে তারা গত কয়েক মাসে বিভিন্নজনকে চাকরী দেবার নামে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় এক কোটি টাকা। 

শরীফা আক্তার স্বর্নাঃ

শয়তান যেহেতু আছে সুতরাং প্রতারণা থাকবেই। কিন্তু সতর্ক থাকাও তো মানুষের দায়িত্ব। সুতরাং সেই দায়িত্ব কেউ এড়াতে চেষ্টা করলে পুণরায় তার প্রতারিত হবার সম্ভবণা থাকে। সম্প্রতি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।গত অক্টোবর ১৪,২০২১ইং বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর  মগবাজার এলাকা থেকে এমনই দু’জন গ্রেফতার করা হয়। 

সিআইডি সুত্রে জানা গেছে, আটককৃত প্রতারকরা বিভিন্ন ভুয়া কোম্পানি খুলে প্রতারণা করে আসছিল। ৩৯ হাজার টাকা বেতনে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে সাড়ে ৬ লাখ করে টাকা নিতেন তারা। এভাবে তারা গত কয়েক মাসে বিভিন্নজনকে চাকরী দেবার নামে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় এক কোটি টাকা। 

গ্রেফতাররা হলেন, বাংলাদেশ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিস নামের একটি ভুয়া কোম্পানির  ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রহমান ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মাহবুবুর রহমান রুস্তম। তাদের কাছ থেকে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে করা চুক্তিনামা কপি, নিয়োগপত্রের ফটোকপি, বিভিন্ন ব্যক্তিদের নিয়োগপত্রসহ অন্যান্য কাগজ জব্দ করে সিআইডি।

সিআইডির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আজাদ রহমান বলেন, সিআইডি ঢাকা মেট্রো উত্তরের এএসপি জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল মগবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ২৫ থেকে ৩০ জনের কাছে থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় এক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এ প্রতারকচক্র। ভুয়া কোম্পানি খুলে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রকল্পে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বেকারদের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে আসছিল তারা। প্রতিষ্ঠানটির বৈধ কোনো কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি। ভুয়া নিয়োগপত্র প্রার্থীদের কেন দিয়েছেন তারও কোনো সদুত্তর তারা সিআইডিকে দিতে পারেননি। 

রাকিব মিয়া নামে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডি অভিযান চালিয়ে এ দুই প্রতারককে আটক করে। রাকিব জানান, তাকে জানানো হয়, এসএসসি পাশ সার্টিফিকেট থাকলেই ৩৯ হাজার টাকা বেতনে একটি প্রকল্পের পরিদর্শক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এজন্য তার কাছে চাওয়া হয় সাড়ে ৬ লাখ টাকা। কথিত প্রতিষ্ঠানটির এমডি আব্দুর রহমানের কথায় চাকরির জন্য অগ্রিম ২ লাখ টাকা দেন রাকিব। পরে দেন আরও ২ লাখ টাকার চেক।

ইন্টারভিউর জন্য ডাকা হলে সাত দিনের মধ্যে যোগদান করার কথা বলে একটি প্রস্তাবনা এবং নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। পরবর্তীতে কয়েকদিন পর আবার ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা দাবি করা হয় ফোনে। পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার টাকা নেওয়ার পর চাকরিতে যোগদান না করিয়ে রাকিবকে ঘোরাতে থাকে তারা। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে রাকিব মিয়া অভিযোগ করলে এর তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে। 

ক্রাইম ডায়রি//ক্রাইম